সোমবার (০২ মার্চ) রাতে বাগেরহাট জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এদেরকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। ভর্তি হওয়া রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা।
এদিকে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে হাসপাতালে ভর্তি থাকা স্থানীয় রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন।
হাসপাতালে ভর্তিকৃতরা হলেন, নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার চিটাগং রোডের মনসুর আহমেদের ছেলে হাসানাত (২৮), বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার সোনাখালী গ্রামের মো. আফজাল সিকদারের ছেলে মো. রুমন সিকদার (৩২) চীনের জে সনের ছেলে জেরী (২৬), জ্যাক জিয়াও চ্যাংয়ের ছেলে জ্যাক জিয়া (৩৩), লিং হং’র ছেলে ফু (৩৩)।
এর আগে রোববার (১ মার্চ) গভীর রাতে মোংলা উপজেলার পশুর নদী সংলগ্ন সাইলো এলাকা থেকে ৩শ’ বোতল মদসহ এদেরকে আটক করে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন, মোংলা।
সোমবার (২ মার্চ) সকালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের পূর্বক মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয় আটককৃতদের। বিকেলে মোংলা থানা আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। কারাগার কর্তৃপক্ষ আসামীদের জেলখানার ভিতরে না নিয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বাগেরহাট জেলা কারাগারের জেলার মহিউদ্দিন হায়দার বলেন, মোংলার একটি মাদক মামলার ৫ আসামিকে জেলখানায় নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে তিনজন চীনা নাগরিক রয়েছেন। যার কারণে অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কারাগারে প্রবেশ না করিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের করোনা ভাইরাস আইসোলেশন ইউনিটের ইনচার্জ মেডিকেল অফিসার ডা. জুনায়েদ সাফার মাহমুদ বলেন, সতর্কতা অবলম্বনের জন্য পুলিশ তিন জন চীনা নাগরিকসহ ৫ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা তাদেরকে করোনা ভাইরাস আইসোলেশন ইউনিটে রেখে দুই ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তাদের শরীরের তাপমাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে। তারা সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ আছেন।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বেলফার হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের জন্য ভর্তি করা তিন জন চীনা নাগরিকসহ ৫ জনকে আমাদের চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। তাদের মধ্যে কোন রকম করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তারপরও আগামী ২৪ ঘণ্টা আমরা তাদেরকে করোনা ভাইরাস আইসোলেশন ইউনিটে পর্যবেক্ষণে রাখব।
হাসপাতালে অবস্থানরত রোগী, রোগীর স্বজন ও স্থানীয় সকলকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
এমকেআর