নামপরিচয় পাওয়া তিনজনই টেকনাফের ২৭ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং ডাকাত। বাকি চারজনও রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরা হলেন, মো. ফারুক (৩৫), নূর হোসেন প্রকাশ নুরাইয়া (৩৫) ও মো. ইমরান (২২)।
সোমবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় র্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। বন্দুকযুদ্ধের সময় ঘটনাস্থল থেকে ৩টি বিদেশি পিস্তল, ৭টি ওয়ান শুটারগান, ১২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং ১৩ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয় বলেও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
প্রেসব্রিফিংয়ে উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ জানান, টেকনাফ এলাকার ডাকাত সর্দার জকির গ্রুপ এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। র্যাব দীর্ঘদিন ধরে এ ডাকাত দলের সদস্যদের ধরার চেষ্টা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার গভীর রাতে জাদিমোড়া এলাকার মোচনী রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন গভীর পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় জকির ডাকাতের আস্তানার সন্ধান পায় র্যাব।
তিনি বলেন, সন্ধান পাওয়ামাত্র র্যাব ফোর্সেস ওই আস্তানা ঘিরে ফেলে। এ সময় র্যাব সদস্যরা মাইকে ডাকাতদের বার বার আত্মসমর্পণের অনুরোধ করেন। কিন্তু এই আহ্বান না শুনে ডাকাতরা র্যাব ফোর্সেসকে উদ্দেশ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। র্যাবও নিজের জীবন ও সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে।
তিনি আরও বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে ৪ ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধ হয়। পরবর্তীতে তা থামলে র্যাব ফোর্সেস ওই আস্তানায় অস্ত্র-শস্ত্রসহ ৭টি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। যার মধ্যে স্থানীয় লোকজন তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করেছে। বাকি চারজনও রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র-শস্ত্র, গোলাবারুদ ও মরদেহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
এসবি/এমকেআর