মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক গাজী রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
ব্যাংক কর্মকর্তা শেখ মুজিবর রহমান জেলার রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের চাকশ্রী গ্রামের বাসিন্দা।
দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের (বাগেরহাট-খুলনা-সাতক্ষীরা) আইনজীবী মিলন কুমার ব্যানার্জী বলেন, ২০১২ সাল থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত বাগেরহাট সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় শেখ মুজিবর রহমান ও জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবু পরষ্পর যোগসাজশে ওই ব্যাংকের সাধারণ গ্রাহকদের রাখা এক কোটি এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৭৯ টাকা আত্মসাৎ করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পায়। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নাজমুল হাসান বাদী হয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপক শেখ মুজিবর রহমান ও জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবুর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক ব্যবস্থাপক শেখ মুজিবর রহমান উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপর আসামি শেখ মাহফিজুর রহমান বাবু (৩৭) বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার অভ্যন্তরীণ অডিট নিরীক্ষাকালে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের তথ্য ফাঁস হয়। এরপর ঘটনা তদন্তে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি কমিটি গঠন করে। অভ্যন্তরীণ অডিটে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা মেলায় তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক শেখ মুজিবর রহমান ও জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবুকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর সোনালী ব্যাংকে নতুন যোগদান করা ব্যবস্থাপক খান বাবলুর রহমান বাদী হয়ে ব্যাংকের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমানের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট মডেল থানায় অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই মামলাটিও বর্তমানে দুদক তদন্ত করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ০৩ মার্চ ২০২০
আরএ