মঙ্গলবার (৩ মার্চ) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অন্য বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং ইউএসএআইডি-র কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী অংশীদারদের পরিচালিত প্রকল্পের জন্য এ তহবিল দিচ্ছে।
বিশ্বের যে কোনো জায়গার সংক্রামক-রোগের হুমকি সর্বত্রই হুমকির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে অন্য দাতাদেরও কোভিড-১৯ মোকাবিলার লড়াইয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি এজেন্ডার (জিএইচএসএ) আওতায় সংক্রামক রোগের জন্য প্রস্তুত হতে ও তা মোকাবিলায় সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্য সংস্থার ইতোমধ্যেই বিনিয়োগ রয়েছে। সেই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নতুন এ তহবিল নিচের উচ্চ-অগ্রাধিকারমূলক দেশগুলিতে কোভিড-১৯ এর হুমকি মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, কাজাখস্তান, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তাজিকিস্তান, ফিলিপাইন, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, লাওস, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
নতুন ঘোষিত সহায়তা মোট তহবিলের মধ্যে ডব্লিউএইচও এর কাছে যে অর্থ যাচ্ছে তা বর্তমানে আক্রান্ত বা ঝুঁকিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকারকে তাদের গবেষণাগারগুলোকে বিপুল সংখ্যায় কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা, প্রবেশ পয়েন্টগুলির জন্য একটি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা, সক্রিয়ভাবে আক্রান্তের ঘটনা চিহ্নিত করা, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতার জন্য নির্দিষ্ট ঘটনাভিত্তিক নজরদারি চালু করা, দ্রুত সাড়া দেওয়া টিমকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং উপকরণে সজ্জিত করা, আক্রান্তের ঘটনা তদন্ত করা, সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়া লোকজনকে চিহ্নিত করা ও কোভিড-১৯ বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ উপকরণ তৈরি করার কাজে ব্যয় হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
টিআর/এএ