বুধবার (০৪ মার্চ) ভোরে প্রতিষ্ঠানটির সিলগালা খুলে দেওয়া হয়। সিরাজগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি এ বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দুপুরে শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার স্টেশন স্বাধীনতা স্কয়ারের সামনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনির নেতৃত্বে ‘তমিজ উদ্দিন অ্যান্ড সন্স মিষ্টিমেলা ও দইঘরে’ অভিযান চালানো হয়। তখন উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ বিহীন দই ও মিষ্টি বিক্রি এবং বিদেশি পণ্যে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল ইসলাম ওই জরিমানা দিতে অস্বীকার করেন। পরে জরিমানা আদায়ের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি
বাংলানিউজকে বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত দই ও মিষ্টির গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ, মূল্য, উপাদান ওজন কোনোকিছু লেখা ছিল না। প্রাথমিকভাবে ভোক্তা অধিকার আইনে দোকান মালিককে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তখন প্রতিষ্ঠানের মালিক জরিমানা দিতে অস্বীকার করেন। আরও দেখা যায় ভারতীয় পণ্যগুলো আমদানিকারকের সিল ছাড়াই বিক্রি করছেন। পরে ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ এর ৩৭ ও ৩৮ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু তখনও তিনি জরিমানা দিতে অস্বীকার করেন এবং তাৎক্ষণিক অন্যান্য মিষ্টির দোকানগুলোতে ফোন করে দোকান বন্ধ রাখতে বলেন। জরিমানা আদায়ের জন্য ওই দোকানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। বুধবার ভোরে জরিমানার টাকা দেওয়ার পর সিলগালা খুলে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় ওই মিষ্টির দোকানের মালিক আমাকে দেখে নেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় সদর থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২০
এনটি