ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার সহায়তা 

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২০
রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার সহায়তা 

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থী, তাদের আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও ক্ষতিগ্রস্ত অন্য জনগোষ্ঠীর জন্য অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা হিসেবে পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বেশি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। ৩ মার্চ জেনেভায় বাংলাদেশের জন্য ২০২০ সালের ‘জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান’ প্রকাশের সময় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

বুধবার (৪ মার্চ) ঢাকার আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার জানান, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের এই সঙ্কটে মানবিক সহায়তায় সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এখনো শীর্ষস্থানে রয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতার সূত্রপাতের পর থেকে প্রতিবছরই আমরা এ অবস্থানে রয়েছি। এই নতুন তহবিল ঘোষণার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের মোট মানবিক সহায়তা প্রায় ৮২ কোটি ডলারে উঠলো। এর মধ্যে প্রায় ৬৯ কোটি ৩০ লাখ ডলারই দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য।

৩ মার্চ জেনেভার ঘোষণাসহ যুক্তরাষ্ট্রের যোগানো তহবিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৯ লাখের বেশি শরণার্থীর জরুরি প্রয়োজনের পাশাপাশি চলমান সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের স্থানীয় অধিবাসীদের প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করে। উদারভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া স্থানীয় বাংলাদেশিদের কাছে যাতে মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা পৌঁছানো অব্যাহত থাকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তা নিশ্চিত করায় অঙ্গীকারবদ্ধ। ২০২০ সালের ‘জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান’-এ তাদের চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতি বাড়তি নীতিগত মনোযোগ প্রতিফলিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত।

যুক্তরাষ্ট্র এই সঙ্কটের বিশালমাত্রার প্রয়োজন একা পূরণ করতে পারবে না। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অনেক দাতা যে অবদান রেখেছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই। অন্য দেশকেও এ বিষয়ে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি আমরা। আমরা এ সঙ্কট মোকাবিলায় সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উদারতা এবং রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি উভয় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছে সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করার জন্য তাদের অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রশংসা করি।

এছাড়াও আমরা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সচেতন সম্মতির ভিত্তিতে স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো অব্যাহত রাখছি।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২০
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।