বুধবার (৪ মার্চ) বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বলাৎকারের শিকার ওই শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) রাতে ওই বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির বাবা জানান, স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে তিনি মতিঝিলের টিঅ্যান্ডটি কলোনিতে থাকেন। কলোনি এলাকার ফুটপাতে তার হোটেলের ব্যবসা রয়েছে। তার হোটেলের কর্মচারী হাবীব (১৮) তার বাসাতেই থাকেন। মঙ্গলবার রাতে হাবীব ও তার ছেলে এবং স্ত্রী বাসায় ছিলেন।
ওই ব্যক্তি বলেন, হঠাৎ আমার ছেলেকে বাসায় পাওয়া যাচ্ছিল না। হাবীবও নিখোঁজ। এ অবস্থায় কলোনি ও এর আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের হদিস মেলেনি। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কলোনির একটি ঝোঁপ থেকে হাবীবকে বেরিয়ে আসতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তবে তাকে জিজ্ঞেস করলেও সে কিছুই বলেনি।
‘পরে ওই ঝোঁপের ভেতরে গিয়ে আমার ছেলেকে হাত বাঁধা ও অচেতন অবস্থায় উপুর হয়ে পড়ে থাকতে দেখি। এরপর তাৎক্ষণিক তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু বুধবার ছেলের অসুস্থতা বাড়লে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাবীব আমার ছেলের ওপর নির্যাতন করেছে। ’
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, শিশুটি ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করেছেন মতিঝিল থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) হাবিজ উদ্দিনও। তিনি জানান, শিশুটির বাবা এ ঘটনায় মামলা করেছে। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম হাবীবকেও ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২০
এজেডএস/এমএ