ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মতো এতবার কোনোটি বাজানো হয়নি: আবুল মকসুদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মতো এতবার কোনোটি বাজানো হয়নি: আবুল মকসুদ

ঢাকা: বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সাংবাদিক আবুল মকসুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এতবার বাজানো হয়েছে যে, আমার মনে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশে কোনো ভাষণ এতবার বাজানো হয়নি। বাড়ির ভেতরে বসে মানুষ কত স্বপ্ন দেখে। তার বাস্তবায়ন কে করবে। বঙ্গবন্ধু সেদিন যে ভাষণ দিয়েছিলেন তার ভাষণে চেতনা ছিল, তিনি একজন গণতান্ত্রিক নেতা। ১৯৪৭ সাল থেকে পাকিস্তান কী কী করেছিল এ দেশের মানুষের সঙ্গে তিনি এই ফ্যাক্ট অ্যান্ড ফিগার বলেছিলেন তার ভাষণে।

শুক্রবার (০৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতা আন্দোলন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা উল্লেখ করে আবুল মকসুদ বলেন, তার ভাষণে একটি অসম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার ছিল।

এই ভাষণ নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে যে আলোচনা হবে এমনটি নয়।   আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলেও এই ভাষণ বাজানো হয়েছিল। বিএনপির আমলে নাজমুল হুদা এই ভাষণ বাজাতে দেয়নি। ১৯৭১ সালের ৮ মার্চ থেকে পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত বিশ্বজনমত বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ছিল। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রত্যেকটি কথা বিশ্বের মাধ্যম ও বিশ্বনেতারা গুরুত্ব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তার দুই শত্রু ভুট্টো ও ইয়াহিয়াকে নিয়ে সংযত ভাষায় তিনি কথা বলেছেন। তার যে আচরণ তার চেয়ে সংযম তার পরিমিতিবোধ প্রকাশ করেছে তার এই ভাষণে। শতাব্দীর পর শতাব্দী বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে কথা হবে।

সেমিনারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পরে, তিনি যখন ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন তখনই তার (বঙ্গবন্ধু) লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। সেই এক বছরের মধ্যেই তার লক্ষ্য স্থির হয়ে গিয়েছিল। আমার এই বিশ্বাসের অনেকগুলো কারণ রয়েছে, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা, পরবর্তীতে মুসলিম আওয়ামী লীগ, যুক্তফ্রন্ট; তারপরে ১৯৬২ সালের আন্দোলন, সমস্ত সংগ্রামের লক্ষ্য এক জায়গায় ছিল। যা ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দাবির মধ্যে দিয়ে চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিহাসবিদরা ঐতিহাসিক কারণে, নানা পরিস্থিতি ও নানা দিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করবেন, দেবেন। কিন্তু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেটাই সত্য। এটাই চূড়ান্ত। এই ভাষণের মধ্যে সবই আছে।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযুদ্ধ সেক্টর ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হারুণ হাবীব, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এমএমআই/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।