শুক্রবার (৬ মার্চ) দুপুর একটার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার রাখা হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবার কবির চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বিএসএমএমইউতে ভর্তি ছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এদিকে খবর পেয়ে আমিন হুদার আত্মীয়-স্বজন হাসপাতালে ছুটে আসেন। শাখাওয়াত নামে এক স্বজন জানান, আমিন হুদা বেশ কিছুদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়বেটিকস ও মানসিক রোগে ভুগিছেলেন। সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় তার হার্টে রিং পরানো হয়েছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বছরের আগস্ট মাস থেকে তিনি বিএসএমএমইউতে-প্রিজন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরেকটি সূত্র জানা গেছে, মাদক সম্রাট আমিন হুদা আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের আপন ভাগিনা।
জেলার মাহবুবুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তার বুকে রিং পরানো হয়েছিল।
জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর গুলশান-১ এর ১২৩ নম্বর বাড়ি থেকে আমিন হুদা ও তার সহযোগী আহসানুল হক ওরফে হাসানকে আটক করে র্যাব। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিল, ৪৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গুলশানের আরেকটি বাসাথেকে ১৩৮ বোতল মদ, এক লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা এবং ইয়াবা বড়ি তৈরির উপাদান উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা দুটি মামলায় ২০১২সালের ১৫ জুলাই আমিন হুদা ও আহসানুল হককে মোট ৭৯ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানার আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আমিন হুদা একই বছরের ২৯ জুলাই হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্ট ৩১ জুলাই আপিল গ্রহণ করে নথি তলব ও জারিমানার আদেশস্থগিত করেন।
এদিকে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে আমিন হুদা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেল শুনানি শেষে ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।
এ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে একই বছরের ১০ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে ৫ মে তার জামিন বাতিল করেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এজেডএস/এসএইচ