মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর শুনে পাগল পায় হয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। মরদেহগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় প্রথমে কেউ তাদের চিনতে পারছিল না।
>>>প্রিয়জনদের মরদেহ চিনতে পারছেন না স্বজনরা
শুক্রবার (০৬ মার্চ) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহতদের মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত ছাড়াই বুকভরা কান্না নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়।
নিহতরা হলেন- শাকিল (২৫), হারুন (৫০), সোহান (২০), সাগর (২২), রিফাত (১৬) ও ইমন (১৯)।
এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চারজন। আহতরা হলেন- শাহিন (৩০), বিজয় (১৯), আবীর (১৯) ও জিসান (২৪)। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। হতাহতদের সবাই নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দরের নবীগঞ্জ টি হোসেন রোড এলাকার বাসিন্দা।
>>>বিজয়নগরে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ৬ জন নিহত
হাইওয়ে সহকারী পুলিশ সুপার সালমান ফরাজি মরদেহ হস্থান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সবার নাম পরিচয় পাওয়া গেছে কিন্তু নিহতদের মুখসহ শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়ে যাওয়ার কারণে তাদের পরিবারের লোকজন শনাক্ত করতে দেরি হয়েছে। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বাংলানিউজকে জানান, পরিবারের লোকজনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ভাটি কালিশিমা এলাকায় বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এনটি