বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাতে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার মনির হোসেনের ভাড়া বাড়ি থেকে সুরভীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরভী মাদারীপুর সদরের চরমুগুরী এলাকার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে নিহত ওই গৃহবধূর স্বামী জসিম উদ্দিন রানা পলাতক রয়েছেন। তিনি বরগুনার পাথরঘাটা থানার পদ্মা করমজাতলা এলাকার মো. জলিলের ছেলে।
শুক্রবার (৬ মার্চ) এ ঘটনায় বাদী হয়ে সুরভীর বাবা দেলোয়ার হোসেন রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মাহিন ফরাজী জানান, সুরভীর স্বামী জসিম উদ্দিন রানা প্রাণ কোম্পানির এসআর পদে চাকরি করেন। মোবাইলের মাধ্যমে সুরভীর সঙ্গে জসিম উদ্দিন রানার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে ৬ মাস আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তারা রূপগঞ্জের কাঞ্চনে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকালে জসিম উদ্দিন রানা তার শ্বশুর দেলোয়ার হোসেনকে মোবাইলে জানান, সুরভী অসুস্থ এবং তার অবস্থা খুবই খারাপ। এদিকে সকাল থেকে সুরভীর ঘর তালাবদ্ধ দেখে জানালা দিয়ে উঁকি মেরে তাকে ডাকাডাকি করতে থাকেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তারা ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পরে রাতে তালা ভেঙে পুলিশ ঘরের মেঝেতে মশারির ভেতর সুরভীর নিথর দেহ খুঁজে পায়। এরপর লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়।
জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মাহিন ফরাজী জানান, নিহত গৃহবধূর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এমআরপি/এইচজে