তবে বালু উত্তোলনকারীদের দাবি, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেই নদীর পাশের সড়ক পাকাকরণসহ সরকারি উন্নয়ন কাজের জন্যই এ বালু উত্তোলন করছেন তারা।
শুক্রবার (০৬ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, গত প্রায় ১০ দিন যাবৎ পাশের গুরুদাসপুর উপজেলার বৃ-চাপিলা গ্রামের ভুট্টু মিয়া দুটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলার কুমারখালী এলাকার বড়াল নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। স্থানীয়দের আপত্তি স্বত্ত্বেও প্রতিদিন বালু উত্তোলন করছেন তারা। এভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বিপুল পরিমাণ বালু তোলায় এলাকার ফসলি জমি, সেতু ও বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আদগ্রাম এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বালু দস্যুরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেওয়ার সাহস করছে না। তারপরও তারা বালু উত্তোলনে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তারা তা না মেনে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর থেকে বালু উত্তোলন করছেন। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় সেতুসহ নদীর তীরবর্তী কুমারখালী ও আদগ্রামের শত শত বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে।
এদিকে, ড্রেজিং পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করায় ভরা বর্ষায় বসত ভিটা, পান বরজ, ফসলি জমি ও পাশের সেতু নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতু, কালভার্ট, রেললাইনসহ মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। অথচ এক্ষেত্রে বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী ভুট্টু মিয়া বলেন, প্রশাসনকে জানিয়েই এখানে বালু তোলা হচ্ছে। এ বালু দিয়ে নদীর পাশের রাস্তা পাকা করা হবে। তবে সরকারিভাবে বরাদ্দ থাকা স্বত্ত্বেও নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে কেন রাস্তা করতে হবে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু তোলা আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এসএইচ