ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৯ নারী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২০
আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৯ নারী

ঢাকা: জাতীয় জীবনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‌‘আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স ২০২০’ অ্যাওয়ার্ড পেলেন নয় নারী। দৈনিক ডেইলি স্টার ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড টানা চতুর্থবারের মতো দেশের সংগ্রামী নারীদের সম্মান জানাতে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে।

পদক পাওয়া নয় নারী হলেন-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে টেপরি রানী ও বিভা রানী, সমুদ্র উপকূলের মৎস্যজীবী নারীদের বিষয়ে লায়লী বেগম, ফুটবল বিষয়ে কামরুন নাহার মুন্নী, দলিত সম্প্রদায় থেকে সোনু রানী দাস, নদী তীরের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের থেকে কোহিনূর বেগম, ছিটমহলবাসীদের থেকে শিক্ষানুরাগী মমতাজ মহল বেবি, প্রতিকূল পরিবেশে ফুটবলে অবদান রাখায় জয়া চাকমা এবং আইনজীবী হিসেবে মারজিয়া রাব্বানী শশী।

শুক্রবার (৬ মার্চ) রাজধানীর হোটেল রেডিসনে মহীয়সী এসব নারীদের হাতে সম্মাননা পদক এবং দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম এবং আইপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হকসহ বিভিন্ন খাতের বিশিষ্ট জনেরা।

পুরস্কার প্রদান শেষে নিজ বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে মোমেন বলেন, এ অনুষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এই যে নয় নক্ষত্র আজ পদক পেলেন তাদের দেখে নিজেকে ছোট মনে হচ্ছে। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের উৎসাহ দেয়। তাদের দেখে আমার মনে হচ্ছে আমরা যা করেছি তা যথেষ্ট নয়। আমাদের আরও করার আছে। এদের এক এক জনের এক দেখে আমি অভিভূত। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় আর আত্মবিশ্বাস থাকলে জয় করা যায় সবকিছুই। তারা এসব কথার জল-জ্যান্ত উদাহরণ। তারা আমাদের জন্য অনুকরণীয়। তাদের অনুকরণ করলে আমরা মানুষের মতো মানুষ হবো।

আইপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের যে প্রান্তেই যায় না কেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা শুনতে পাই। আবার ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে সমালোচনা শুনতে হয়। তখন প্যারাডক্স তৈরি হয়। অনেকের মধ্যে প্রশ্ন আসে যে, এমন ব্যবসা পরিবেশ থেকে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন কীভাবে সম্ভব। এর উত্তর হচ্ছে আজ যে নয় নারীকে আমরা পুরস্কৃত করছি তাদের মতো নারীদের আত্মত্যাগ। এ নারীরাই বদলে যাওয়া বাংলাদশের গল্প। তাদের সম্মানিত করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।

এ বছর ১০০টির বেশি মনােনয়ন গ্রহণ করা হয়েছিল এবং দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে অসামান্য অবদানের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ জুরি প্যানেলের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য দুইজন সংগ্রামী নারীসহ মােট নয়জনকে মনােনীত করা হয়। এ বছর জুরি বোর্ডে ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, গ্লোবাল ক্যাম্পেইন ফর এডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মালেকা বানু এবং ব্র্যাকের কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্টের পরিচালক আনা মিনজ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এসএইচএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।