ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মক্ষেত্রে সফল নারীদের সম্মাননা  

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২০
 কর্মক্ষেত্রে সফল নারীদের সম্মাননা  

ঢাকা: ব্যবসা-বাণিজ্য, সেবাখাত ও বহুজাতিক কোম্পানিতে নেতৃত্বের মাধ্যমে সাফল্য দেখিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছেন এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় এমন নারীদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৮ মার্চ) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (আইইউবি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।  

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক মিলান পাগন এবং রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পাঠাও-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) হুসাইন এম ইলিয়াস সফল ২৬ নারীর হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

 
 
যৌথভাবে এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আইইউবি ও পাঠাও। অধ্যাপক মিলান পাগন বলেন, নারী নেতৃত্বকে উৎসাহ দিতে হবে রাষ্ট্র ও সমাজকেই। আজ রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতিটি খাতে নারী নেতৃত্ব নিজেদের প্রমাণ করে চলেছেন। নারীর এই নেতৃত্বই আমাদের প্রতিষ্ঠিত করবে উন্নয়নের ধারা।

পাঠাও এর সিইও হুসাইন এম ইলিয়াস বলেন, দেশ যখন মধ্যম আয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা আমাদের সবার কর্তব্য। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর বাংলাদেশ আজ যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে সেটা সম্ভব হতো না নারীর অসামান্য নেতৃত্ব ছাড়া।  

‘এখানে খেলাধুলা, সাংবাদিকতা, আইনশৃঙ্খলাসহ সব কাজে আমাদের নারীরা নিজেদের দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। নতুন প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন এই নারীরা। তাদের সম্মানিত করতে পেরে পাঠাও গর্বিত। ’

এর আগে ‘জেনারেশন ইকুয়ালিটি : রিয়ালাইজিং উইমেন’স রাইটস ইন সোশ্যাল জাস্টিস, টেক, একাডেমিয়া অ্যান্ড কর্পোরেট ওর্য়াল্ড’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ড. শামীম মাতিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অংশগ্রহণ করেন টপ অফ মাইন্ড’র সিএফও সালমা আদিল, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের অ্যাডভোকেট এলিনা খান, এসিআই লিমিটেডের ম্যনেজিং ডিরেক্টর সুস্মিতা আনিস, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ’র  হেড অফ লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল এফেয়ার্স মুবিনা আসাফ।

প্যানেল আলোচনায় বিজ্ঞাপনী সংস্থা টপ অব মাইন্ডের সিএফও, সোস্যাল ইনিশিয়েটিভ প্রতিষ্ঠান সেফ হ্যান্ডসের প্রতিষ্ঠাতা সালমা আদিল বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে যখন চাকরি প্রত্যাশীরা সিভি পাঠান, আমি কখনো সেখানে পুরুষ বা নারী হিসেবে আলাদাভাবে তাদের বিচার করি না। তার যোগ্যতাকেই প্রাধান্য দিই। তবে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমতায় বিষয়টিও আমরা মাথায় রাখি।

এছাড়া পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন অংশে কন্যাশিশুরা যাতে আর বুলিংয়ের শিকার না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান তিনি।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড (বিএটি) এর হেড অব লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মুবিনা আসাফ বলেন, আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়েই নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে নারীদেরকেই। আধুনিকতাকে স্পর্শ করতে যেয়ে যেন নিজেদের নিরাপত্তাকে আমরা বিসর্জন না দিই।

এছাড়া প্রথম পর্বের সম্মাননা প্রদান শেষে ‘চেঞ্জিং টাইমস অ্যান্ড চেঞ্জিং এরাস: উইমেন ইন জার্নালিজম, ইন্টারটেইনমেন্ট, স্পোর্টস অ্যান্ড মিডিয়া’ শীর্ষক আরো একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যাপক নিয়ায জামান এর সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন চয়নিকা চৌধুরী,  নূর জাহান বোস, কনক চম্পা চাকমা, তুতলী রহমান, তারিন হোসেইন এবং সারা আলি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।