শনিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগ, টিএসসি চত্বর, গুলিস্তান, পল্টন এলাকা, ধানমন্ডি ৩২, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, মানিক মিয়া এভিনিউয়ে পূর্বের তুলনায় কম লোক দেখা যায়।
জনসমাগম কম কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে একাধিক ব্যক্তি এবং ফুটপাতে ব্যবসা করা লোকজন বাংলানিউজকে জানান, করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে মানুষ খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাসা থেকে বের হচ্ছে না।
পল্টন এলাকায় মগবাজার নিবাসী শিমুল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, বাসায় বসে বসে খাওয়ার মতো টাকা পয়সা আমাদের নেই। কাজ না করলে আমাদের চলবে না। তবে এই ভাইরাসের কারণে কাজকর্মের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। এই অবস্থা বেশি দিন চললে আমার মতো খেটে খাওয়া মানুষের অনেক সমস্যা হয়ে যাবে।
অপরদিকে রাজধানীতে চলাচলকারি, সাভার পরিবহন, ট্রান্স সিলভা পরিবহন, বিহঙ্গ পরিবহন, সদরঘাট থেকে গাবতলীতে চলাচল করা ৭ নম্বর পরিবহনসহ আরও কিছু পরিবহনের যাত্রীর সংখ্যাও অনেক কম লক্ষ্য করা যায়। এসব পরিবহনে ইতিপূর্বে যাত্রীরা সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে, গাদাগাদি করে যেতে দেখা যেত। সেইসব পরিবহনেও দেখা যায় অনেক আসন খালি রয়েছে। বাসের মধ্যেও দেখা যায় যাত্রীদের বেশিরভাগই মাস্ক ব্যবহার করছে।
সাভার পরিবহনে সদরঘাট অভিমুখে যাওয়া শ্যামলী নিবাসী আব্দুল বারেক নামের এক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের ভয়ে অনেকে বাসে চলাচল কম করছে। আমার মতো বা যাদের আয়-রোজগার কম, তাদের তো বাস ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া আসার অন্য কোনো উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়েই বাসে চলাচল করি।
প্রেসক্লাবের সামনে দায়িত্ব পালনকারী বিহঙ্গ পরিবহনের টিকিট চেকার গোবিন্দ এ বিষয়ে বলেন, যেদিন থেকে ভাইরাস ধরা পড়ছে তারপর থেকেই আমাদের যাত্রীর সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। বর্তমানে পূর্বের তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা অর্ধেক বলা যায়।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর অধিকাংশ রাজনৈতিক দল তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের চেয়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গণসচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
আরকেআর/এইচএডি/