রোববার (১৫ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের নগর দরিদ্রের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম বলেন, নগরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না।
তিনি বলেন, বেসরকারিখাতের মধ্যে সবসময় একটি ধারণা কাজ করে আয় (প্রফিট) করার। একটি সাইকোলজিক্যাল ইস্যুই আছে প্রফিট করতে হবে। এ ধারণা ও চিন্তা করলে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সফল হবে না। সেবা দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। না হলে স্বাস্থ্যসেবায় পরিবর্তন আসবে না।
তিনি আরও বলেন, শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় বেসরকারিখাত যদি প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে একটি ভবন তৈরি করে চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়ে সেবা দেওয়া শুরু করে, তখন সরকার বা সিটি করপোরেশ সেখানে সহায়তা করতে পারে। সরকারের একার পক্ষে এটি করা সম্ভব না। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এটি হতে পারে।
এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ওয়ার্ডভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা না থাকায় ছোট-খাটো রোগের জন্য ঢাকা মেডিক্যালসহ বড় বড় হাসপাতালগুলোতে ভিড় করা হচ্ছে। ওয়ার্ডভিত্তিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলে প্রাথমিক চিকিৎসাটা সেখানে নিতে পারবে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় হাসপাতালে আসবেন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের নগর উন্নয়ন স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ সরকার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ আলম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিনিস্টার কনস্যুলার অ্যান্ড হেড অফ কো-অপারেশন মাওরিজিও সিয়ান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
এসই/ওএইচ/