ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সার্জারির সমস্যায় ঢামেকে মৃত্যু হয় কানাডাফেরত নাজমার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
সার্জারির সমস্যায় ঢামেকে মৃত্যু হয় কানাডাফেরত নাজমার রোগীদের বেড। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘সার্জারির সমস্যার কারণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কানাডাফেরত নাজমার মৃত্যু হয়েছে। তিনি শনিবার (১৪ মার্চ)  সকাল ৮টায় ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।’

রোববার (১৫ মার্চ) সকালে ঢামেক হাসপাতালের সার্জারির বিভাগের অধ্যাপক এবিএম জামাল এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সার্জারির সমস্যা নিয়ে নাজমা শনিবার সকালে হাসপাতালের ২১৯ নম্বরের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়।

তখন তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আমরা তাকে চিকিৎসা দিয়েও বাঁচাতে পারিনি। শনিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

তার পরিবারের সদস্যরা আমাদের জানিয়েছিলেন কয়েক দিন আগে নাজমা কানাডা থেকে দেশে এসেছেন। সেখানে তিনি পড়াশোনা করতেন। সার্জারির সমস্যার কারণে তাকে ঢাকার কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে তার শারীরিক অবস্থা যখন খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছিল, তখন তারা নাজমাকে ঢামেকে ভর্তি করান। নাজমার খুব জ্বর থাকায় তিনি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কিনা সেজন্য তাকে পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় তার নেগেটিভ এসেছে। পরে বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ আইইডিসিআরে খবর দেয় । তারা এসে নাজমার কিছু নমুনা সংগ্রহ করে। পরে শনিবারই তারা নাজমার পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট পাঠায়। রিপোর্টে তিনি করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত নয় বলে উল্লেখ করা হয়।

তিনি আরও জানান, নাজমাকে যখন সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়, তখন করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রোগী ও ওয়ার্ডে থাকা রোগীর স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি সবাইকে অবহিত করা হয় যে, নাজমার করোনা রোগে আক্রান্ত নন। হাসপাতালে আনার পর নাজমার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, কানাডায় তিনি ভালো ছিলেন। বাংলাদেশে আসার পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ স্টোর) আলাউদ্দিন আল আজাদ বাংলানিউজকে জানান, করোনা ভাইরাস সতর্কতা হিসেবে হাসপাতাল আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বহির্বিভাগসহ জরুরিবিভাগেও আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, কোনো রোগী যদি জ্বর, ঠাণ্ডা ও কাশি নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসে, তাদের আলাদাভাবে চিকিৎসা দেওয়া হবে।  পাশাপাশি তাদের বিস্তারিত তথ্যও নেওয়া হবে। যদি দেখা যায় করোনার লক্ষণ তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। তখনই তাদের দ্রুত সরকার থেকে বরাদ্দ করা হাসপাতালে পাঠানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
এজেডএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।