রোববার (১৫ মার্চ) রাত ৮টায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদরদপ্তরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
এম মফিদুর রহমান বলেন, সক্রিয় ভূমিকার কারণে জনগণকে দুর্যোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
‘১৬ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের কোনো যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না। এ তথ্য সংশ্লিষ্ট সব দেশ ও এয়ারলাইন্সকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও কোনো এয়ারলাইন্স যাত্রী আনলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স খরচ বহন করবে, তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ’
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বিমানবন্দরগুলোতে ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করার ব্যাপারে আমরা সফল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সবাই মিলে প্রতিকার বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। প্রথম দিকে স্ক্যানার যথেষ্ট ছিল। মাঝে মধ্যে বিকল হয়ে যায়, এটা টেকনিক্যাল বিষয়। পরে বিষয়টি জানার পর দ্রুত ঠিক করা হয়। যাত্রীরা যাতে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে যায় এটা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোববারও ইউরোপ থেকে ২৪২ জন যাত্রী এসেছে। তাদের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা ছাড়া কেউ আসার সুযোগই নেই। তারপরও প্লেনে কেবিন ক্রুরা তথ্য নেন। সেটার ভিত্তিতে তাই ভাইরাস রোধ করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে, মানুষের সুরক্ষার জন্য এটা করা হয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, অনেকে বলছে বিমানবন্দরে চেকআপ করা হচ্ছে না। কিন্তু তারা খেয়ালই করতো না তারা একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আগে দৈনিক ফ্লাইট ছিল ১২০, এখন সেটা ৩৮ চলছে। সপ্তাহে ৪৪১টি ফ্লাইট ছিল, তা অর্ধেক কমে গেছে। করোনার প্রভাব বাড়ার পরই বিমানবন্দরে মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এম মফিদুর রহমান বলেন, ফ্লাইট সংখ্যা কমার ফলে প্রতিদিন রাজস্ব কমছে গড়ে ৩৭ লাখ টাকা। ১৩ দিনে ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব কম হয়েছে। এখন আয় বড় নয়, মানবিক বিষয়টাই বড়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
টিএম/এএ