তবে যন্ত্রপাতিগুলো কিনতে আরো এক বছর সময় চাওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের জুন মেয়াদে যন্ত্রপাতিগুলো কেনার সময়সীমা নির্ধারণ ছিল।
প্রকল্পের আওতায় আহ্বান করা দরপত্রের মাধ্যমে অটোমেটেড যন্ত্রপাতি তৈরি করতে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে ছয় মাস সময় প্রয়োজন। এই হিসাবে চুক্তি স্বাক্ষর থেকে যন্ত্রপাতি ফাংশনিং পর্যন্ত প্রায় এক বছর সময় লাগবে। ব্যয় বাড়িয়ে ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্রীয় সম্প্রচার ব্যবস্থার আধুনিককায়ন ডিজিটালাইজেশন ও অটোমেশন’ প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০২১ পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটির কাজ শুরু করতেই ছয় মাস চলে গেছে। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ আরো এক বছর লাগবে। আশা করছি এই মেয়াদেই প্রকল্পটি শতভাগ সম্পন্ন হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে দর্শকদের সব আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে বিটিভি।
এছাড়া মাস্টার কন্ট্রোল রুম (এমসিআর) সাময়িকভাবে স্থানান্তরের সময় বিটিভির সুষ্ঠু সম্প্রচার যেন কোনো প্রকার বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য জরুরিভিত্তিতে যন্ত্রপাতি কেনার জন্য বরাদ্দ ৮৫ লাখ থেকে বেড়ে দেড় কোটি টাকা করা হচ্ছে।
যন্ত্রপাতি ও সম্প্রচার কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে অন্য স্থানে সাময়িক স্থানান্তরের কাজটি চ্যালেঞ্জের। ইতোমধেই পূর্ত কাজ শেষ হওয়ায় ইনজেন্ট রুমে এমসিআর যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও শহীদ সরদার শওকত হামিদ স্টুডিও’র ধারণ কার্যক্রম টক স্টুডিওতে এবং তৃতীয় তলার বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও বিটিভি ন্যাশনাল স্থানান্তরের জন্য কতিপয় অপরিহার্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহের প্রয়োজন। এজন্য অনুমোদিত প্রকল্পে ৮৫ লাখ টাকার বরাদ্দ রয়েছে। তবে এই বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়, এখন আরো ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দাবি করা হয়েছে।
বিটিভি একটি পাবলিক সার্ভিস ব্রডকাস্টার ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিভিশন। এর মাধ্যমে বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প ও সংস্কৃতির চর্চা, পরিবার কল্যাণ, পরিবেশগত স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য, জনসচেতনতা সৃষ্টি, মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় আন্দোলন ও সংগ্রামের ইতিহাস, সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য দেয়। মূলত এসব কথা মাথায় রেখেই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক রূপ পেতে যাচ্ছে বিটিভ।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
এমআইএস/এএ