সোমবার (১৬ মার্চ) সকালে জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের জিরো পয়েন্টে এ মানবববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে যৌতুক লোভী স্বামী নুরে আলমের বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন দপদপিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ও স্কুল শিক্ষিকা মারুফা আক্তার পপির বাবা আয়ুব আলী হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব খান, মুক্তিযোদ্ধা এ টি এম জিন্নআত আলী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব সিকদার, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সিকদার, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার হাওলাদার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে একজন স্কুল শিক্ষিকাকে অমানুষিকভাবে নির্যাতন ও কুপিয়ে জখম করেন তার স্বামী নুরে আলম। তিনি মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার পরও জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে যৌতুকের জন্য নিজের স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেন। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নুরে আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বক্তারা।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৪টায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার স্কুল শিক্ষিকা মারুফা আলম পপিকে কুপিয়ে আহত করেন তার স্বামী নুরে আলম। পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পপির স্বামী ও একই এলাকার আব্দুল ওহাব খানের ছেলে নুরে আলমকে আটক করে নলছিটি থানা পুলিশ। পপি তিমিরকাঠি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
শিক্ষিকা পপির মা বিউটি বেগম জানান, ২০ বছর আগে আব্দুল ওহাব খানের ছেলে নুরে আলমের সঙ্গে তার মেয়ে পপির বিয়ে হয়। তাদের দু’টি সন্তানও রয়েছে। ২০১৫ সালে ৭শ’ বোতল ফেনসিডিলসহ র্যাবের হাতে আটক হন নুরে আলম। ওই মামলায় তার যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত। নুরে আলম সেই মামলায় এক বছর কারা ভোগের পর জামিনে বের হন। নুরে আলম দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসার জন্য তার স্ত্রী পপির কাছে ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে তিনি টাকা দিতে না পারায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পপিকে কুপিয়ে জখম করেন নুরে আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
এমএস/আরআইএস/