ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

যাত্রাবাড়ীতে ৫ ব্যবসায়ীর জেল, ৫০ লাখ টাকা জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২০
যাত্রাবাড়ীতে ৫ ব্যবসায়ীর জেল, ৫০ লাখ টাকা জরিমানা

ঢাকা: করোনা আতঙ্কের সুযোগে বেশি দামে পেঁয়াজ, মেয়াদোত্তীর্ণ মাছ সংরক্ষণ ও বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ৫ ব্যবসায়ীকে ৬ মাস থেকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৬ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীর পেঁয়াজের আড়তে এ অভিযান চালানো হয়।  

অভিযানের নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-১০ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শাহারিয়ার জিয়াউর রহমান।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সাদিয়া বাণিজ্যালয়, ফাতেমা অ্যান্ড সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ, বৈশাখী সোনারগাঁও বাণিজ্যালয়, মো. মাসুদ রেণু এন্টারপ্রাইজ, দরদী বাণিজ্যালয়, আল মক্কা ট্রেডার্স, ভিশন বাণিজ্যালয়, ইউরো ওয়াল্ড বাণিজ্যালয়, নীড় এন্টারপ্রাইজ, মদিনা ট্রেডার্স, নওফা এন্টারপ্রাইজ, ভূইঞা বাণিজ্যালয়, সিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ, ইউনিভার্সাল ট্রেড ভিশন, ভাই ভাই বাণিজ্যালয়, জয়পুরহাট বাণিজ্যালয়, সাবিনা বাংলাদেশ, আমেনা বাণিজ্যালয় এবং রাজবাড়ী বাণিজ্যালয়কে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।  

মদিনা ট্রেডার্স মাসুদ রানা, আবু বক্কর ট্রেডাস, চিশতীয়া বিক্রমপুর বাণিজ্যালয়, ফয়সাল বাণিজ্যালয়, লোহজং বাণিজ্যালয়, ভাই ভাই বাণিজ্যালয় ও কেয়া মনি এন্টারপ্রাইজকে  ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।


কুদ্দুস অ্যান্ড সন্স, মেসার্স তিতাস বাণিজ্যালয় ও আশিক বাণিজ্যালয়কে  দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। শাপলা ট্রেডার্সকে এক লাখ ৫০ হাজার, মাইজ ভান্ডারী ট্রেডার্সকে ৭৫ হাজার এবং  আরশাদ আইস অ্যান্ড ফ্রিজিং লিমিটেডকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সারোয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান পেঁয়াজের মৌসুম। দেশে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও ব্যবসায়ী-আড়ৎদার মিলে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এসব অভিযোগে ৩১টি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ মাছ সংরক্ষণ এবং বিক্রির করায় ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৫ জনকে ৬ মাস থেকে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পাইকারি খুচরা বাজারে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। যারা করোনা ভাইরাস বা মানুষের অতিরিক্ত কেনাকাটার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। জনগণ ও ক্রেতাদের অনুরোধ করবো আপনারা একসঙ্গে ২-৩ মাসের বাজার করবেন না।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২০
এমএমআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।