ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এডিস মশার উপদ্রব কমানোর সফলতা দাবি মন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
এডিস মশার উপদ্রব কমানোর সফলতা দাবি মন্ত্রীর

ঢাকা: এ বছর বিভিন্ন পদক্ষেপে এডিস মশার উপদ্রব কমানোর সফলতা দাবি করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মশার উপদ্রব আরও কমাতে শিগগিরই দুই সিটি করপোরেশনকে নিয়ে বসবেন বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

রাজধানীতে মশা বৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, মশা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে কিনা আমি জানি না। তবে ইদানীং কিছু কিছু মশা দেখা যাচ্ছে। আমার নিজের বাসাতেও মাঝে মধ্যে দুই-একটা মশা দেখি। যেটা মধ্যখানে দেখিনি। মশা মারা এবং ডেঙ্গু থেকে ঢাকাবাসীকে রক্ষা করার জন্য পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা নিয়ে সিটি করপোরেশনের সাথে কাজ করেছি। তাতে সফলতা অর্জন করেছি, এটা স্বীকার করতে হবে।

তিনি বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে সিটি কর্পোরেশনসহ ডেঙ্গু বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আগামী সপ্তাহে ডাকা হয়েছে। মশা নিধনের পরিমাণ কী মাত্রায় আছে এবং যদি প্রয়োজন হয় তাহলে নতুন কিছু পরিকল্পনা হাতে নেব তা নিয়ে আলোচনা করব।

তুরাগ নদের পাড়ে নতুন শহর নির্মাণ প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, তুরাগে যে শহর গড়ে তোলা হবে, একটি মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এটা করা গেলে সেখানে ৬০ শতাংশের বেশি ওয়াটার বডি থাকবে। ঢাকা শহরের কোনো জায়গায় ১৫ শতাংশ ওয়াটার বডি নেই। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। তুরাগে এই নগরী নির্মিত হলে সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ডের চেয়েও সুন্দর একটি নগরী হবে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে খাল হস্তান্তর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ওয়াসা থেকে হস্তান্তর করার পর এগুলোকে সংস্কার করে আধুনিক ব্যবস্থাপনার জন্য সিটি কর্পোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি মিটিং করে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে। দুই সিটি কর্পোরেশন কী পরিকল্পনা করছে তা জেনে মন্ত্রণালয় থেকে একটি কর্ম পরিকল্পনা করা আছে সেটিও দুই মেয়রকে অবহিত করা হবে। মন্ত্রণালায়ের নেতৃত্বে কাজগুলো করব। এ ক্ষেত্রে হাতিরঝিল মডেল হতে পারে। দুই পারে ওয়াকওয়ে এবং সৌন্দয বৃদ্ধি করা হবে। খাল উদ্ধারে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন করবে এবং করা উচিত। এজন্য আমাদের পক্ষ থেকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মো. মিজানুর রহমান এবং নওগাঁ জেলা পরিষদের সদস্য নিপন বিশ্বাস শপথ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।