বরিশাল: বরিশাল নগরীতে টপ টেন শোরুমে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বেশকিছু কিশোর-যুবক দলবেঁধে ওই শোরুম লুটপাট করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় শোরুমের ১০ কর্মচারীকে মারধর করে। এসময় পাঁচজনকে আটকে রেখে পুলিশে সোপর্দ করেন দোকানের স্টাফরা। তারা হলেন-ব্রজমোহন কলেজের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থবর্ষের ছাত্র রাকিব, নোহান, শুভ্র, শাহাদাৎ ও সজীব।
শোরুম ম্যানেজার মিরাজ বাংলানিউজকে জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে অর্ধশতকেরও বেশি যুবক ক্রেতা সেজে ৫০ থেকে ৬০ জন দোকানে প্রবেশ করে। এসময় তারা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের লোক বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে নতুন জামা, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, ঘড়ি ও কসমেটিকসসহ মূল্যবান সব পণ্য লুট করে নিয়ে যায়। এসময় দোকান স্টাফদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজন আহত হন। একপর্যায়ে পাঁচজন ছাড়া সবাই পালিয়ে যায়। পরে ওই পাঁচ যুবককে আটকে রেখে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। তবে আটকদের দাবি, তারা সাধারণ ক্রেতা, লুটপাটকারী যুবক নয়।
তবে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেছেন, যারা আটক হয়েছেন তারা ছাত্রলীগের আরেক নেতার অনুসারী। তারা আমার কর্মী নন।
জসিম উদ্দিনের দাবি, বিগত দিনে রাজনৈতিকভাবে আমাকে কোনঠাসা করে রাখার জন্য বিভিন্নভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা রেজা হত্যায় আমাকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছিল। এটিও তেমনি একটি চক্রান্ত। আমাকে ফাঁসানোর জন্য ও কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে আমার নাম প্রচার করছে। প্রকৃতপক্ষে এসব করার ইচ্ছা ও সামর্থ্য আমার নেই।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মাত্র ১২ দিন আগে নগরীর বিবির পুকুরপাড়ে বেশ বড় পরিসরে দোকানটির যাত্রা শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২১
এমএস/ওএইচ/