পঞ্চগড়: ভারসাম্যহীন ব্যক্তির ওপর নির্মম নির্যাতন, অপরাধীকে খুঁজছে পুলিশ-এই শিরোনামে গত ৫ মার্চ (শুক্রবার) দিনগত রাতে দেশের শীর্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এ সংবাদ প্রকাশ হয়। খবরটি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে তৎপর হয়ে ওঠে থানা পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
সংবাদ প্রকাশের তিন দিনের মাথায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা থেকে রশিদুল ইসলাম (২৮) নামে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিজ পরিবারের কাছে ফিরে যান রশিদুল ইসলাম।
সোমবার (৮ মার্চ) রাত ৯টায় তেঁতুলিয়া মডেল থানায় তার পরিবারের লোকজনদের কাছে তাকে হস্তান্তর করে পুলিশ। রশিদুল ইসলাম নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ পুটিমারী ইউনিয়নের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়েম, রশিদুলের স্ত্রী সাহার বানু, ভাই ওহিদুল ইসলাম, ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম, পুটিমারির গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম, তেঁতুলিয়ার টিম-১৯ যোদ্ধা নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সংগঠক সাব্বির হোসেন রকির উপস্থিতিতে পরিবারের কাছে তাকে তুলে দেন পুলিশ।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার বিকেল ৪টার সময় রশিদুল ইসলামকে উপজেলার বুড়াবুড়ি বাজারে ঘুরতে দেখেন ডিএসবি কর্মকর্তা শামসুল হক। পরে তাকে সেখান থেকে থানায় নিয়ে আসেন। ডিএসবি কর্মকর্তা শামসুলকে বিভিন্ন মাধ্যমে পরিবারটিকে খোঁজার নির্দেশ দিলে তিনি নীলফামারীতে যোগাযোগ করেন। এসময় পুটিমারী ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হলে চেয়ারম্যান তার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে থানায় আসেন। পরে সব প্রক্রিয়া শেষে রাতেই তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গত ৫ মার্চ (শুক্রবার) বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলার কলোনিপাড়া স্কুল মাঠে রশিদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করিয়েছেন তেঁতুলিয়ার ‘টিম-১৯’ যোদ্ধা নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যোদ্ধারা। এসময় খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে তার খোঁজখবর নেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
আরএ