ঢাকা, রবিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় এএসআইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২১
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় এএসআইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

রংপুর: রংপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের মামলায় পুলিশের সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাহেনুলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুরে পৃথকভাবে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে এবং মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মোট ৩৬৭ পাতার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।



চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, রংপুরের হারাগাছ থানাধীন বাহার কাছনা মাস্টারপাড়া এলাকায় ১০ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। এতে এজাহারনামীয় আসামি এএসআই রাহেনুল ইসলাম, সুমাইয়া পারভীন মেঘলা, সুরভী আক্তার সমাপ্তি, বাবুল হোসেন এবং আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এছাড়াও ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামিদের জবানবন্দি ও জব্দ করা আলামতসহ ডিএনএ পরীক্ষায় গণধর্ষণের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।

এএসআই রাহেনুল প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভুক্তভোগীকে ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাহার কাছনার সুমাইয়া পারভীন মেঘলার ভাড়া বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়েটিকে তার বাড়ির কাছে পৌঁছে দেয়। এ বিষয়ে তার মা রাগারাগি করলে ওই স্কুলছাত্রী রাত ১০টার দিকে মেঘলার বাড়িতে আবারও আসে। পরে মেঘলা তার বান্ধবী সুরভী আক্তার সমাপ্তিসহ বাবুল ও কালামের সঙ্গে পরেরদিন সকাল ১১টার দিকে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায়।

তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম তদন্ত শেষে এএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজু, সুমাইয়া পারভীন মেঘলা এবং আসামি সুরভী আক্তার সমাপ্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে অপরাধ করার প্রাথমিক প্রমাণ পায়। এছাড়াও অপর দুই আসামি আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরাধ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৪৪ পাতার জুডিসিয়াল নথি ও ৩২৩ পাতার কেস ডকেট প্রস্তুত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও মানবপাচার দমন ট্রাইবুনালে চার্জশিট দাখিল করেন।

এ সময় উপস্থিত রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, আইন সবার জন্য সমান। আমরা এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেও নিরপেক্ষ তদন্ত করে ধর্ষণের বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছি। চার্জশিট দাখিল করা হলো। অপরাধ করলে কেউ পার পাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।