সিলেট: বসন্তে অশান্ত মানুষ। পরিবার পরিজন নিয়ে আর ঘরে বসে নেই।
শীত মৌসুমে করোনা আক্রান্তে লাগাম টেনে ধরা গেলেও তাপমাত্রা বাড়ার প্রাক্কালে করোনা আবারও ছড়িয়ে পড়ছে সবখানে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সিলেটের কাজিরবাজার মৎস্য আড়তে ওপরে ‘নো-মাস্ক, নো এন্ট্রি’ সাইনবোর্ড থাকলেও জনসমাগমস্থলে অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক। এ নিয়ে বাজার কর্তৃপক্ষেরও কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এছাড়া জাফলংসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকমুখর থাকলেও মানুষের মাস্কবিহীন চলাফেরায় সচেতনার অভাব দেখা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্যমতে, এক সপ্তাহের সিলেটে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭২ জন। মারা গেছেন দুই জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন একজন।
শনিবার (২০ মার্চ) পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছরের ১০ মার্চ থেকে এ যাবত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৭৭ জন। বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৭৬ জন। আর আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮০ জন। মারা যাওয়াদের মধ্যে সিলেট জেলার ২১৭ জন, সুনামগঞ্জে ২৬ জন, হবিগঞ্জে ১৬ জন এবং মৌলভীবাজারের ২২ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালকের দায়িত্বে থাকা ডা. আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দিলেও লোকজন সচেতন হচ্ছেন না। যে কারণে সিলেটে করোনার প্রভাব বাড়ছে।
গত এক সপ্তাহে দেড় শতাধিক আক্রান্ত ও দুই জনের মৃত্যু আমাদের জন্য অশনি সংকেত। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
এনইউ/এএটি