মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বিএসএফ প্রথমে দায়িত্ব এড়ানোর জন্য মরদেহ বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে রাখে।
শনিবার (২০ মার্চ) সকালে এই ঘটনা ঘটেছে বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন জুড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহেল ইসলাম। তবে বিজিবি এখনো অফিসিয়ালি এই তথ্য জানায়নি বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এই যুবকের নাম বাপ্পা মিয়া (৪২)। তিনি ফুলতলা ইউনিয়নের আবদুল রউফের ছেলে। সকালে ফুলতলা ইউপি’র পূর্ব বটুলী এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার পাশে বাংলাদেশ সীমান্তে পড়ে ছিল। তিনি গরুর ব্যবসায়ী ছিলেন।
জুড়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ বাংলানিউজকে বলেন, সীমান্ত সংলগ্ন স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি বাপ্পাকে শুক্রবার রাতে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে নির্যাতন করার এক পর্যায়ে ভোরে হত্যা করে বাংলাদেশি সীমানায় মরদেহ ফেলে রাখে।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফ চেয়েছিল নিহতের মরদেহ বাংলাদেশি সীমানায় ফেলে হত্যার দায়দায়িত্ব এড়িয়ে চলে যাবে। কিন্তু স্থানীয় বিজিবি অনানুষ্ঠানিকভাবে মরদেহ গ্রহণ না করায় পরবর্তীতে বিএসএফ এবং বিজিবি’র মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ পুনরায় বাপ্পার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে ফেরত দেওয়া হবে বলে শুনেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
বিবিবি/কেএআর