বরিশাল: বরিশালের নথুল্লাবাদ সড়কের আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে আল-আমিন (২৪) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২০ মার্চ) দুপুরে শরীফ আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আল-আমিন (২৪) বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কর্মন্দপুর গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে।
এঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করার কথা না জানালেও আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান মীমসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিহতের বোন লাকি আক্তার বাংলানিউজকে জানান, আল-আমিনের সঙ্গে বরিশাল নগরের নিউ সাকূলা রোড হার্ট ফাউন্ডেশন এলাকার কবিকর হোসেনের মেয়ে ইসরাত জাহানের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত কয়েকমাস আগে তারা নিজেরা বিয়ে করে। এই বিয়েতে ইসরাতের পরিবার রাজি ছিলো না। আল-আমিন ঢাকার বাংলামটর এলাকার ট্যান্সমিটার কোম্পানি প্রিন্স কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র অফিসার পদে কর্মরত ছিলো। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) আল-আমিন ঢাকা থেকে বরিশালে আসে। শুক্রবার সে তার স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলে যায় আমাদের জানা ছিলো না।
লাকির দাবি তার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে হোটেলে ডেকে এনে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের বাবা মোস্তফা হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, আল আমিনের সামনের মাসে আসার কথা ছিলো বরিশালে। আমাকে ওর স্ত্রী ফোন করে বলেছে আল আমিন নথুল্লাবাদে এক্সিডেন্ট করছে। এখন এসে দেখছি আমার ছেলে মারা গেছে। আমার একটাই ছেলে। ও আত্মহত্যা করার লোক না। এই ঘটনাটার সুষ্ঠ তদন্ত চাই আমি।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেস চন্দ্র হালদার বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির টিমও ঘটনস্থলে এসেছে। প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে তার গলায় দাগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি। মরদেহের সুরাতাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি, তবে আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান মীম ও তার এলাকার বাসিন্দা মানিক, সোহেল, সুজন এবং হোটেল ম্যানেজারসহ ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
এমএস/কেএআর