ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটটি চোরাই গাড়িসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) মিরপুর বিভাগ।
গ্রেফতাররা হলেন- নূরুল হক, আব্দুল আলিম ওরফে ইমন, হৃদয় পাঠান ওরফে উজ্জ্বল পাঠান ও এ এইচ রুবেল।
শনিবার (২০ মার্চ) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি মিরপুর বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম।
এসময় তাদের কাছ থেকে আটটি চোরাই প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আশারাফুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি রাজধানীর কাফরুল, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীসময়ে কাফরুল থানায় দায়ের করা একটি মামলার তদন্তের ধারাবাহিকতায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবি জানায়, এ চক্রের সদস্যরা বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গাড়ি চুরি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। প্রথমে ২-৩ জনের একটি গ্রুপ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে টার্গেট গাড়ি খুঁজতে থাকে। টার্গেট করা গাড়ি পেলে সময় ও সুযোগ বুঝে কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে নকল চাবি দিয়ে গাড়ির দরজা খুলে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, পূর্বাচল বা কাঁচপুর ব্রিজের দিকে।
এসময় চোরাই গাড়ির সামনে ও পেছনে বাইকে বা অন্য কোনো গাড়িতে এ চক্রের অন্য সদস্যরা থাকেন। এরপর সেখান থেকে তাদের একজন দক্ষ ড্রাইভার গাড়িটি নিয়ে চলে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ বা মৌলভীবাজারের চোরাই গাড়ি বিক্রির সিন্ডিকেটের কাছে।
সেখান থেকে অন্য ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে চলে যায় সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায়। এরপর সেখানে বিআরটিএর সিল-স্বাক্ষর জাল করে গাড়ির নকল কাগজপত্র তৈরি করা হয়। মূল মালিকের নামের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা হয় নকল দলিল অথবা আদালতের সই স্বাক্ষর সম্বলিত নিলামের নকল কাগজপত্র।
আর সেসব গাড়ি সহজ-সরল লোকদের কাছে অনেকটা কম মূল্যে বিক্রি করে দেয়। এছাড়া, এ চক্রের সদস্যরা কিছু কিছু চোরাই গাড়ি দিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজা বহন করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
পিএম/এএ