টাঙ্গাইল: গোপালপুরে সাত গ্রামের সংখ্যালঘুদের শ্মশানঘাটে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা জবরদখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন সরকারি দলের এক নেতা। ফলে শতাব্দী প্রাচীন শ্মশানঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে সেই বেদখল হওয়া রাস্তা পুনরুদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা প্রশাসন। গুড়িয়ে দেওয়া হয় আওয়ামী লীগ নেতার বহুতল ভবন।
উপজেলা পুজা পরিষদের সভাপতি এবং মুক্তিযোদ্ধা সমরেন্দ্র নাথ সরকার বিমল বাংলানিউজকে জানান, প্রায় দেড়শ বছর আগে নগদাশিমলা ও হাদিরা ইউনিয়ের মাইজবাড়ী, চতিলা, জগন্নাথবাড়ী, পলশিয়া, নগদাশিমলা, চরশিমলা ও সৈয়দপুর গ্রামের কয়েক হাজার সংখ্যালঘুদের জন্য হেমনগরের জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরী প্রায় তিন একর জমিতে জগন্নাথবাড়ী শ্মশানঘাট নির্মাণ করেন। শ্মশানঘাটে যাওয়ার জন্য শিমলা বাজার থেকে ২০ ফিট প্রস্ত এবং দেড়শ গজ দীর্ঘ একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বছর দুয়েক আগে গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন রাস্তা জুড়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন। ফলে শ্মশানঘাটে যাওয়া-আসা বন্ধ হয়ে যায়।
নগদাশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন আলী বাংলানিউজকে জানান, শ্মশানঘাটের একপাশে বিল আরেক পাশে ফসলি জমি। ফসলি জমি চাষাবাদ ও ফসল আনা-নেওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া ইসলাম সীমা বাংলানিউজকে জানান, জবরদখলকারি আবুল হোসেনকে কয়েকদফা নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি কর্ণপাত না করায় দুপুরে অবৈধ ভবন ভেঙে শ্মশানঘাটের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
কেএআর