ঢাকা: আমার দেশ সুইডেনে মোট জনসংখ্যা মাত্র ৯৫ লাখ। অথচ বাংলাদেশে জনসংখ্যা কয়েকগুণ বেশি।
আশা টোরকেলসন ২০১৮ সালের ২১ মার্চ বাংলাদেশে যোগদান করেন। মঙ্গলবার(১২ অক্টোবর) নগরীর শেরে বাংলানগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের নানা বিষয়ের ভূয়সী প্রসংসা করেন আশা।
আশা টোরকেলসন বলেন, দীর্ঘদিন বাংলাদেশে অতিবাহিত করলাম। এই সময়ে দেশের অনেক ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। এমনকি করোনা সংকট মোকাবিলা করে বাংলাদেশ পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাত, পানি ও স্যানিটেশনে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। তবে বাল্যবিয়ে বাংলাদেশর অন্যতম সমস্যা বলে মনে করেন আশা। বাংলাদেশের মানুষ টিকা নেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছে। টিকাকরণ আরও বাড়াতে হবে বলে জানান ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি।
আশা টোরকেলসনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন তিনি দেশ থাকলেন। বাংলাদেশে অর্থনৈতি খুব ভালোমতো এগিয়েছে। দেশের উন্নয়নের প্রসংশা করেছেন তিনি। এই সফর তিনি মনে রাখবেন। বাংলাদেশ করোনা সংকটের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছে এটা দেখার মতো। তিনি সুমানগঞ্জের হাওর এলাকায় গিয়েছিলেন। ’
‘তার দেশ উন্নত, দেশ মানুষ মাত্র ৯৫ লাখ। অথচ করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ তার দেশ সু্ইডেনের থেকেও সফল বলে দাবি করেন তিনি। ’
তিনি আরও বলেন, আশা টোরকেলসন বাল্যবিয়ের কথা বলেছেন, এটা আমিও স্বীকার করি। তবে বাল্যবিয়ের বলয় ভাঙতে সরকার বন্ধ পরিকর।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২১
এমআইএস/এসআইএস