ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ২০২০ পরবর্তী বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ প্রতিবছর বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ১ শতাংশ অর্থাৎ কমপক্ষে ৮০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের আহবান জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই পরিমাণের মধ্যে প্রতি বছর কমপক্ষে ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ করা উচিত।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ‘ইকোলজিক্যাল সিভিলাইজেশন-বিল্ডিং এ শেয়ারড ফিউচার ফর অল লাইফ অন আর্থ’ শিরোনামে চীনের কুনমিং শহরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের বায়োডাইভারসিটি কনফারেন্সে হাই লেভেল সেগমেন্টের রাউন্ডটেবল বি: ক্লোজিং দ্য ফিনান্সিয়াল গ্যাপ অ্যান্ড এনশিওরিং দ্য মিনস অব ইমপ্লিমেন্টেশন’ সেশনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ দেশ, যেখানে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কিন্তু ঘন ঘন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের কারণে এ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কার্যক্রম গতি পাচ্ছে না। বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য ফাস্ট-ট্র্যাক সহায়তার জন্য জিইএফ, জিসিএফ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক উৎসের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
শাহাব উদ্দিন বিশ্ব নেতাদের জানান, বাংলাদেশ ১৯৯২ সালে কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভার্সিটিতে স্বাক্ষর করে ১৯৯৪ সালে অনুমোদন করেছে, ২০০৪ সালে জৈব নিরাপত্তা প্রটোকল অনুমোদন এবং ২০১১ সালে নাগোয়া প্রটোকল স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ সংরক্ষণ, টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে, বিশ্বের খুবই কম দেশের একটি হিসেবে বাংলাদেশ ২০১৭ সালে জীববৈচিত্র্য আইন কার্যকর করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২১
এমআইএইচ/এমজেএফ