পঞ্চগড়: বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে প্রকৃতিতে চলছে হেমন্তকাল। পুরোপুরি শীত আসতে এখনও দেড়-দুই মাস বাকি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, করোনা রোগীর সংখ্যা কমলেও আবহাওয়ার কারণে কিছু ভাইরাসজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তদের পরামর্শ ও সুচিকিৎসা দিতে চিকিৎসকরা কাজ করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান। সরেজমিনে দেখা গেছে, পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ জেলার পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। আক্রান্তরা জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৪০০ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। তবে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন, কেউ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
জেলা সদরের ধাক্কামারা এলাকার উম্মে কুলসুম রুমা বাংলানিউজকে জানান, তিনদিন ধরে তার দুই বছর বয়সী শিশুর ডায়রিয়া। তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। একই কথা জানান তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবগড় ইউনিয়ন থেকে আসা ফাতেমা বেগমও। একমাস বয়সী শিশু জাহিদকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন তিনি।
পঞ্চগড়ের হাড়িভাসা ইউনিয়ন থেকে আসা নুরজাহান বেগম (৫৯) বাংলানিউজকে বলেন, রাতে কাঁথা গায়ে দিই। কিন্তু দিনে আবার ফ্যান চালাতে হয়। এখন গরম-ঠাণ্ডা নিয়ে সর্দি-জ্বরে ভুগছি।
সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার (শিশুরোগ) ডা. রাজ্জাক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণ এবং করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক কমে যাওয়ায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের চিকিৎসার পাশাপাশি অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২১
এনএসআর