পিরোজপুর: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় `ডাক দিয়ে যাই' এনজিও’র কর্মকর্তারা চেক জালিয়াতি করে খলিলুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হয়রানি থেকে রেহাই পেতে ও ঋণ গ্রহণের অনুকূলে জমাকৃত স্বাক্ষরিত সাদা চেক ফেরত পাওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ডাক দিয়ে যাই এনজিওর তিনি একজন নিয়মিত গ্রাহক। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন অংকে ৬টি ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণের অনুকূলে এনজিও’র শর্তানুযায়ী তার স্বাক্ষরিত সাদা চেক ১২টি ও জামানতকারীর ৬টি চেক জমা দেন। দীর্ঘ দিনের লেনদেনের সম্পর্কে এনজিওর মঠবাড়িয়া তৎকালীন ম্যানেজার নাজমুলের ভাগ্নি সাদিয়ার সঙ্গে তার ছেলে নাসির উদ্দিনের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। কিছুদিন পর তার পুত্রবধূ জনৈক জাহিদের পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পিরোজপুর একটি আবাসিক হোটেলে রাতযাপন করে। পরে রাত্রি যাপনের নগ্ন ছবি তার ছেলে নাসির উদ্দিনের ইমুতে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি মঠবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়রের মধ্যস্থতায় মিমাংসা না হলে নাসির উদ্দিন চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তার স্ত্রী সাদিয়াকে রেজিট্রি তালাক দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করার জন্য সাবেক ম্যানেজার নাজমুল হোসেন ডাক দিয়ে যাই এনজিওর এরিয়া ম্যানেজার শাহ আলম, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. জলীল, শাখা হিসাবরক্ষক আউয়ালের কাছ থেকে তার (খলিলুর রহমান) ঋণ গ্রহণের অনুকূলে জমাকৃত ওই স্বাক্ষরিত একটি সাদা চেক নিয়ে নাজমুলের বোন রেকসোনা এমদাদের নাম বসিয়ে ব্যাংক ডিজঅনার করিয়া ১০ লাখ টাকার একটি মামলা করে। এছাড়া বাকি চেকগুলো ডিজঅর্নার করিয়া তাকে মামলা দেয়ার হুমকি দেয়। নাজমুল বর্তমানে রিক এনজিওতে কর্মরত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নাজমুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মামলা দেয়ার ওই চেকটি এনজিওর নয়। খলিলুর রহমান চেকটি আমার বোন রেকসোনা এমদাদকে দিয়ে টাকা নিয়েছিল।
`ডাক দিয়ে যাই' এনজিওর এরিয়া ম্যানেজার শাহ আলমের মোবাইলে বন্ধ পাওয়া গেলেও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. জলীল বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের নামে যেহেতু মামলা হয়েছে। মামলায় যা হওয়ার হবে। আমার কোন মন্তব্য নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
এনটি