ঢাকা: ‘শাক দিয়া চিংড়ি মাছ খামু— বেশি দামের জন্য সে উপায়ও নাই। গুঁড়া চিংড়ি মাছের যে দাম এক পোয়া কিনলেই বাকি সদাই কেনার পয়সা আর থাকে না।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে রামপুরা এলাকার বউবাজারে বাজার করতে এসে গৃহবধূ আকলিমা এ মন্তব্য করেন।
শিশুসন্তানসহ বাবাকে নিয়ে বাজার করতে এসেছেন আকলিমা। দুই দিন হলো তার বাবা মো. মাইনুদ্দিন ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে মেয়ের কাছে বেড়াতে এসেছেন।
আকলিমা বলেন, ‘ভেবেছিলাম শাক ও গুঁড়া চিংড়ি কিনে রান্না করবো। কিন্তু এখন বাজারে গুঁড়া চিংড়ির যে দাম, যদি এক পোয়া কিনি তাহলে অন্য সদাই কেনা সম্ভব হবে না। তাই চিংড়ি মাছ কেনা বাদ দিয়েছি। ’
আকলিমা জানান, দুই সন্তান ও স্বামী গিয়াস উদ্দিনকে নিয়ে তার সংসার। তার স্বামী কাঠমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তারা একটি টিনসেট বাড়িতে পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়ায় থাকেন।
করোনা ও লকডাউনের কারণে গত দেড় বছরের বেশি সময় সংসারে নিয়মিত ইনকাম ছিল না তাদের। আকলিমা বলেন, ‘কাজ থাকলে আমার স্বামী প্রতিদিন মজুরি হিসেবে টাকা পায়। ওই টাকা জমিয়ে কোনোরকম ঘর ভাড়া দিতে পারি। বাজার থেকে মাছ-মাংস কিনে ভাত খাওয়া আমাদের মতো পরিবারের কাছে এখন রূপকথার গল্প। ’
তিনি বলেন, ‘শীতকালের যে কোনো সবজির দাম ১৪০ থেকে ১৩০ টাকা। কাঁচা পেঁপে ও শাক ছাড়া ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। ঠিক আছে, সবজি না খেলাম। কিন্তু চাল-ডাল, তেল এগুলোর দামও বেড়েছে। আমরা কোথায় যাবো? তরকারিতে পেঁয়াজ দেওয়া হয় না বললেই চলে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২১
এজেডএস/এনএসআর