ঢাকা: আলু রপ্তানি বৃদ্ধিতে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ আলু রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিইএ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে আলু খুবই সম্ভাবনাময় একটি ফসল। আবহাওয়া ও মাটি আলু চাষের অনুকূলে। আলুর বাজার ও চাহিদা বাড়াতে পারলে উৎপাদন আরও অনেকগুণে বাড়ানো সম্ভব। সেজন্য আমরা বিদেশে আলুর বাজার বিস্তৃত করতে কাজ করছি।
ইতোমধ্যে আলু রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য খসড়া রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া, রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিরসনকল্পে কাজ চলছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে বছরে ১ কোটি টনেরও বেশি আলু উৎপাদিত হয়। ভালো জাতের আলুর অভাবের কারণে এতোদিন আলু রপ্তানিতে বাধা ছিল। ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আলুর জাত অবমুক্তিতে আগে নিবন্ধন লাগত, সেটিকে আমরা উন্মুক্ত (নন-নোটিফাইড) করে দিয়েছি। ফলে প্রাইভেট খাতও কিছু উন্নত জাত নিয়ে এসেছে। মাঠে এ জাতগুলোর সক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা, গুণাগুণসহ ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। এ রপ্তানিযোগ্য জাতগুলো মাঠ পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণ ও কৃষকের কাছে জনপ্রিয়করণ করতে কাজ চলছে। জাত নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না। এছাড়া প্রতিনিধিদলের দাবির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রতিনিধিদল আলুর রপ্তানি বৃদ্ধিতে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন।
প্রস্তাবগুলো হলো: রপ্তানিযোগ্য জাতগুলো মাঠ পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণ ও কৃষকের কাছে জনপ্রিয়করণ, অ্যাসোসিয়েশনকে গবেষণার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া, কৃষি মন্ত্রণালয় প্রণীত রোডম্যাপের সঠিক বাস্তবায়ন, আলু পরিবহণে কুল চেইন বজায় রাখতে প্লাগ ইন সেন্টারসহ অবকাঠামো নির্মাণ, কাস্টমস হাউজের বাইরে কন্টেইনার ব্যবহারের ব্যবস্থা, লোডিং পয়েন্টে ফাইটোস্যানিটারি পরীক্ষার ব্যবস্থা, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে পুনরায় আলু রপ্তানির জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া, নতুন বাজার অনুসন্ধান ইত্যাদি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশ আলু রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শেখ আব্দুল কাদের, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাহাবুব মোর্শেদ, নির্বাহী সদস্য সুফিয়ান আহামেদ, জিয়াউল হক, রাশেদ আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪,২০২১
জিসিজি/জেডএ