ঢাকা: ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে জেলহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বাণী পাঠ,আলোচনা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার ( ৪ নভেম্বর) ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা ও স্মরণসভা শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার স্মৃতিরপ্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে হাইকমিশনের কর্মকর্তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের কর্মময় জীবনের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ১৯৭১সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায় তার অবর্তমানে ১৯৭১ সালে জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠন, রণনীতি ও রণকৌশল প্রণয়ন, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা, কূটনৈতিক তৎপরতা, মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে অসামান্য অবদান রাখেন।
হাইকমিশনার আরও বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র কারাবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি ও দেশবিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্ত্রী উদযাপন করছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করার সকল শর্ত পূরণ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪,২০২১
টিআর/এসআইএস