ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অনন্যার শীর্ষদশ সম্মাননা পেলেন ১০ নারী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
অনন্যার শীর্ষদশ সম্মাননা পেলেন ১০ নারী

ঢাকা: বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ও ঐহিত্যবাহী পাক্ষিক নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০২০ পেয়েছেন দশজন নারী।

এ বছর রাজনীতিবিদ, উদ্যোক্তা, প্রযুক্তি, কৃষি, নাট্যনির্মাণ, কর্পোরেট পেশা, বিজ্ঞান অধিকার কর্মী, ক্রীড়া ও লোক ঐতিহ্য—এ দশটি শাখায় পুরস্কার দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটেরিয়ামে দশ নারীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

প্রতি বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সমাজে আলোচিত ও আলোকিত নারীদের মধ্য থেকে ১০ জন কৃতি নারীকে এ সম্মাননা দেয় অনন্যা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন দেশের সংগ্রামী নারীদের খুঁজে খুঁজে নিয়ে আসছেন। আজকে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। এর পেছনে সব থেকে বড় ভূমিকা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সরকারের নানা নিয়ম-নীতির জন্যই মেয়েরা নিজ নিজ অঙ্গনে সফলতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মেয়েরা অসাধারণ সব সাফল্য অর্জন করেছেন। ফুটবল ও ক্রিকেটসহ সকল খেলাধুলায়ও মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে অনন্যার সম্মাননা অনেক বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবে। তাই অনন্যা আমার কাছে অনন্য।

পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, করোনাকালের পরে আমাদের জীবনযাপন পাল্টে যাচ্ছে। ভার্চ্যুয়াল জগতের বাইরে এসে এভাবে সশরীরে অনুষ্ঠান করতে পারব, সেটা ভাবতে পারিনি। তবে অনন্যার সাথে যুক্ত যুবকদের প্রচেষ্টায় আমরা সশরীরে অনুষ্ঠানটি করতে পারছি। দেশে নারী ব্যক্তিত্ব যাদের এখন সমাজে নানা ভূমিকা রাখতে দেখা যায়, তাদের প্রায় বেশির ভাগ নারীকে স্বীকৃতি দিয়েছে অনন্যা। গত ২৮ বছরে ২৮০ জন নারী এ সম্মাননায় ভূষিত হলেন।

তিনি আরও বলেন, আগে অনন্যা সম্মাননা প্রদানের জন্য দেশের ১০ জন সংগ্রামী নারীকে খুঁজে পেতে কষ্ট হতো। তবে এখন অনন্যা সম্মাননার জন্য ৫০ জনেরও বেশি সংগ্রামী নারীকে আমরা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করি। এটা অনন্যার জন্য খুব গর্বের জায়গা। এতে বোঝা যায়, দেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন, তারা আর অবহেলিত থাকতে চান না।

অনন্যা শীর্ষদশ জয়ীরা বলেন, এই পুরস্কার আমাদের জন্য সম্মানের। এটা আমাদের চলার পথকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।

অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননাপ্রাপ্ত নারীরা হলেন—কামরুন্নাহার জাফর (রাজনীতি ক্যাটাগরিতে), শাহীদা বেগম (উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে), লাফিফা জামাল (প্রযুক্তিতে), অল্পনা রানী (কৃষিতে), চয়নিকা চৌধুরী (নাট্যনির্মাণে), স্বপ্না ভৌমিক (কর্পোরেট পেশায়), সেঁজুতি সাহা (বিজ্ঞানে), তাসনুভা আনান (অধিকারকর্মী বিভাগে), জাহানারা আলম (ক্রীড়ায়), রূপন্তী চৌধুরী (লোক-ঐতিহ্যে)।

অনুষ্ঠানে সম্মাননাজয়ীদের ওপর নির্মাতা লেখক তাপস কুমার দত্তের নির্মাণে তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সংগীত পরিবেশন করে ভৈরব।

অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল দারাজ ও হা-মীম গ্রুপ, বেভারেজ পার্টনার নেসক্যাফে, ব্রডকাস্টিং পার্টনার নেক্সাস টেলিভিশন, মিডিয়া পার্টনার দৈনিক ইত্তেফাক, এটিএন নিউজ, সমকাল ও বাংলা ট্রিবিউন।

অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ১৯৯৩ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বছর নিজ নিজ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১০ জন বিশিষ্ট নারীকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১ 
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।