ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাল-ডাল-ডিমের দাম বেড়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২২
চাল-ডাল-ডিমের দাম বেড়েছে

ঢাকা: বছরের প্রথম সপ্তাহে বাজারে চাল, ডাল ও ডিমের দাম বেড়েছে। কমেছে মুরগির দাম।

এছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে সবজির দাম আগের মতই আছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা (গোল), বেগুন ৫০ টাকা (লম্বা), ফুল কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, পাতা কপি ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।

এসব বাজারে পুরান আলুর কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা। দাম কমে নতুন আলু কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। গত সপ্তাহের দামে পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।  

আগের দামে বিক্রি হচ্ছে রসুন। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। দেশি রসুন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। দেশি আদার কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। হলুদের কেজি ১৬০ থেকে ২২০ টাকা।

বেড়েছে মুসুরির ডালের দাম। দেশি ডালের কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি। বেড়েছে ইন্ডিয়ান ডালের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা কেজি। এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।  

বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ১৫ টাকা দাম কমে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।

২০ টাকা দাম কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৯০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, শীত বেড়ে যাওয়ায় মুরগির দাম বাজারে কম থাকার কথা। প্রতি বছরই শীতে সোনালি মুরগির দাম কম থাকে কিন্তু এবার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে দাম।

বাজারে বেড়েছে চালের দাম। এসব বাজারে নাজিরশাইল চালে কেজিতে বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা। নাজিরশাইল চালের কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চালে প্রতি কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৩ থেকে ৬৪ টাকা, আটাশ চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা। আটাশ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫১ থেকে ৫২ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও আটাশ চালের কেজি ছিল ৪৯-৫০ টাকা।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে চাল বিক্রেতা কালাম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ করেই বেড়েছে বাজারে চালের দাম। পাইকাররা বলছে বাজারে ধানের সংকট ও ধানের দাম বাড়তে থাকায় চালের দাম বেড়েছে।

তিনি বলেন, মোটা ধানের সিজন হওয়া সত্ত্বেও দাম বেড়েছে। আসলে বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালের ব্যবসা শুরু করেছে, এরা একবারে অনেক চাল কিনে মজুদ করে, এরপর হঠাৎ করে বাজারে দাম বাড়িয়ে দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো মনিটরিং হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২২
এমএমআই/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।