বাগেরহাট: ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় জলসীমায় ভাসতে থাকা ফিসিং ট্রলারসহ ২০ জেলেক উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন, মোংলা কার্যালয় থেকে ওই ২০ জেলেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন- মো. নুরুল ইসলাম, মো. তাছিন, মো. নুরুল ইসলাম, মো. হানিফ, মো. সোহেল, মো. বেল্লাল, মো. আলাউদ্দিন আহমেদ, আবু বকর, মো. মিরাজ, মো. সালাউদ্দিন, মো. সালাউদ্দিন, মো. সবুজ, মো. হারুন, মো. জামাল, মো. বসর, মো. মোস্তাফিজ, মো. সোলাইমান, মো. আবু জাহের, মো. রিপন ও মো. দেলোয়ার। তাদের সবার বাড়ি ভোলা জেলায়।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১১ ডিসেম্বর থেকে গভীর বঙ্গপসাগরে ভাসতে ভাসতে হারিয়ে যান তারা। পরে ২৬ ডিসেম্বর ভারতীয় কোস্টগার্ড ফিসিং ট্রলারসহ ২০ জেলেদের উদ্ধার করে। পরে দুই দেশের কোস্টগার্ডের সমঝোতায় জেলেদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন, মোংলার জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম মোসায়েদ হোসেন সোমবার দুপুরে বলেন, কোস্টগার্ডের জাহাজ স্বাধীন বাংলা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় কোস্টগার্ডের জাহাজ সরোজিনি নাইডু থেকে বাংলাদেশের ওই ট্রলারসহ ২০ জেলেকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হয়। দুপুরেই জেলেদের মহাজন ও ট্রলার মালিক আবুল কাশেমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জোনাল কমান্ডার আরও বলেন, গভীর সাগরে অনেক সময়ই জেলেদের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। কখনো আমরা জানতে পারি, আবার কখনো জানতে পারি না। এখানে সুবিধা হয়েছে যে তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
সাধারণভাবে কোনো জাহাজ দুর্ঘটনায় পড়লে তারা একটি এসওএস (বার্তা পাঠান) দেয়। তবে আমাদের জেলেদের মাছ ধরায় ব্যবহৃত নৌযানগুলোতে তেমন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি না থাকলেও, একটা মিনিমাম ট্রান্সপন্ডার (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি) থাকতে পারে। এটা চালু করলে আমরা জানতে পারব, কোন নৌযান দুর্ঘটনায় পড়েছে। একটি সম্ভাব্য লোকেশন পাওয়া যাবে। যাতে সহজেই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে। ভারতীয় বোটগুলোতে এ ধরনের যন্ত্র আছে। যা আমাদের সমুদ্রগামী বোটগুলাতেও থাকা দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
এসআই