গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বাকপ্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (২০) ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান বাংলানিউজকে জানান, সকালে নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে ওই প্রতিবন্ধীর মামা সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পৌরশহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বাইপাস মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী তার বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে তার ভাইয়ের বাড়ির পাশে থাকতেন। ওই কিশোরীর বাবা প্রায় ১৪ বছর আগে মারা গেছেন। মা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় ওই তরুণীকে বাড়িতে রেখে বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করেতেন। এই সুযোগে প্রতিবেশী মৃত আকবার আলী ওরফে ঝড়ু মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া (৫০) বিভিন্ন সময়ে ওই বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করতেন।
কিছুদিন ধরে ওই তরুণীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে তাকে পৌরশহরের মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ৯ জানুয়ারি আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় ওই তরুণী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ অবস্থায় ওই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীর মামা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই কিশোরীর মামা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ভাগ্নির শারীরিক গঠনে সন্দেহ হলে গত ৯ জানুয়ারি তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোডের মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় আমার বাক প্রতিবন্ধী ভাগ্নি পাঁচ মাসের গর্ভবর্তী।
তখন ভাগ্নির কাছে জানতে চাইলে সে ইশারা ইঙ্গিতে প্রতিবেশী নুরু মিয়া কথা বলেন। পরে ১৫ জানুয়ারি আমি বাদী হয়ে নুরু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
ওসি আব্দুল্লাহিল জামান বাংলানিউজকে জানান, রোববার সকালে প্রতিবন্ধী কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
এনটি