বরিশাল: বরিশালের বাবুগঞ্জের ভূতেরদিয়া এলাকার ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করার পাশাপাশি জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
পুলিশ বলছে, যৌন নির্যাতনের পর মরিয়ম বেগম (৪৩) নামের ওই নারীর মাথায় লাঠির আঘাত দিয়ে হত্যা করা হয় এবং তারপরই বাড়ির পাশের সন্ধ্যা নদীতে ওই নারীর মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. শাহজাহান হোসেন জানান, ১৩ জানুয়ারি বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ভূতেরদিয়া গ্রাম সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর একটি নালার মধ্য থেকে মরিয়ম বেগমের মরদেহ পাওয়া যায়।
এর পরই মৃতের ছেলে মো. ইমরান হোসেন বাবুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন তার মা মরিয়ম বেগমকে ১২ জানুয়ারি রাত ১০ টার পর থেকে ১৩ জানুয়ারি সকালের মধ্যে বসতঘর থেকে বাহিরে নিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর মরদেহ বাড়ি সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
এরপর বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযানে নেমে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় দোকানদার সুমন ফকির (৩৫) ও শয়ন চন্দ্র শীলকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। মূলত মৃত ওই নারীর মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া কলের তথ্যানুযায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত এ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া এরা দুজনই ঘটনার পর থেকে এলাকায় ছিলেন না।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানিয়েছেন- পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ও পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক একা থাকায় ঘটনার রাতে মরিয়ম বেগমের ঘরে যান তারা। ঘরের ভেতর মরিয়ম বেগমকে জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন করে। কিন্তু ভিকটিম সামাজিকভাবে ওই ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়দের কাছে বিচার চাওয়ার কথা জানালে, মরিয়মকে ঘর থেকে টেনে বের করে এবং লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে সন্ধ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
গ্রেফতারকৃত সুমন ফকির ভূতেরদিয়া এলাকার আতাহার ফকিরের ছেলে এবং শয়ন চন্দ্র শীল একই এলাকার নরেন চন্দ্র শীলের ছেলে। তারা ওই এলাকায় বখাটেপানাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি ও অপরাধ) মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, গ্রেফতারদের আদালতে সোপার্দ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
এমএস/এসআইএস