ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ৬০০ মুরগির বাচ্চা মারলো বখাটেরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২
কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ৬০০ মুরগির বাচ্চা মারলো বখাটেরা

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক পোল্ট্রি ফার্মে হামলা চালিয়ে ছয়শ’ মুরগির বাচ্চা মেরে ফেলেছে বখাটেরা।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বুরুমদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পোল্ট্রি ফার্মের মালিক শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানার দায়ের করা অভিযোগপত্রে জানা যায়, উপজেলার বরুমদী এলাকার সৌদি প্রবাসী নেছার আহমেদের স্ত্রী শাহনাজ বেগমের স্বামী বাড়িতে না থাকায় তিনি বাড়ির পাশে একটি দোকান ও  পোল্ট্রি ফার্ম পরিচালনা করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকার সাদেক মিয়ার বখাটে ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোকানে এসে শাহনাজের মেয়েকে উত্যক্ত করাসহ অশালীন কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে কু-প্রস্তাব দিতেন। এতে রাজি না হওয়ায় বখাটে সাজ্জাদ বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দিয়েছেন।

গত শনিবার বিকেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় সাজ্জাদ তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে শাহনাজের বাড়িতে ঢুকে পোল্ট্রি ফার্মে হামলা চালায়। এ সময় তারা পোল্ট্রি ফার্মে থাকা ছয়শ’ মুরগির বাচ্চা পায়ে পিষে মেরে ফেলেন।

শাহনাজ বেগম জানান, আমার স্বামী বাড়িতে না থাকায় আমি সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে একটি পোল্ট্রি ফার্ম করেছি ও বাড়ির সামনে একটি দোকান দিয়েছে। ওই দোকানে আমি ও আমার মেয়ে বেচাকেনা করি। বখাটে সাজ্জাদ আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করাসহ কু-প্রস্তাব দিতেন। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাজ্জাদ তার বাহিনী নিয়ে আমার ফার্মের ছয়শ’ মুরগির বাচ্ছা মেরে ফেলেছেন। এতে আমার ৪০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মুরগির ফার্মে হামলার ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
এমআরপি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।