ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২
মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের আহ্বান ইফতেখারুজ্জামান

ঢাকা: মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়া( টিআইএম)।

মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানায় সংস্থা দু’টি।

টিআইবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক নিয়োগ বিষয়ে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে সাক্ষরিত হওয়া সমঝোতা স্মারকের বিস্তারিত বিষয় জনসাধারণের জন্যে প্রকাশে যৌথভাবে আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়া (টিআইএম)।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বার্লিন-ভিত্তিক বৈশ্বিক জোট ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) এর এই দুই ন্যাশনাল চ্যাপ্টার মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা এবং কুয়ালালামপুর থেকে একযোগে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণসহ সম্ভাব্য সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুই দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, যাতে বাংলাদেশের শ্রমিক এবং মালয়েশিয়ার নিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়।

সাম্প্রতিককালে দুই দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে টিআইবি এবং টিআইএম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছে, বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিদের (বিআরএ) একটি অংশ তাদের মালয়েশীয় সহযোগীদের অসাধু প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অথচ দুই দেশের সরকার জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এই সমঝোতা স্মারকের বিষয়বস্তু ও শর্তাদি প্রকাশে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা আরো হয়, এই গোপনীয়তা উভয় সরকারের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় অঙ্গীকারের পরিপন্থি। শুধু তাই নয়, সমঝোতা বিষয়ক তথ্য প্রকাশে অনীহা সম্ভাবনাময় এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে মুষ্টিমেয় রিক্রুটিং এজেন্সির হাতে চলে যাবার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।  

বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে বলা হয়, বাংলাদেশে ১ হাজার ৫০০-এর বেশি আগ্রহী ও আইনিভাবে অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সি থাকা সত্ত্বেও মাত্র ২৫ টি প্রভাবশালী বিআরএ ও তাদের প্রত্যেকের অধীনে ১০টি করে সাব এজেন্ট প্রতিষ্ঠানকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার অসাধু পরিকল্পনা এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এবং টিআইএম এর প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মোহন বলেন, সমঝোতা স্মারকের বিষয়বস্তু নিয়ে গোপনীয়তার ফলে যে কারসাজির সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা শুধুমাত্র এজেন্সি নির্বাচনের উন্মুক্ত এবং ন্যায্য প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার বাধ্যতামূলক বিধানগুলোকেই লঙ্ঘন করবে না, একই সঙ্গে জবাবদিহিতার সুযোগকেও সীমিত করবে। এবং বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকের অভিবাসন ব্যয় ও তাদের মালয়েশিয়ান নিয়োগকর্তাদের কর্মী নিয়োগ ব্যয় বাড়িয়ে দেবে।

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একই ধরনের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণসহ দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দেবার ঘটনা উল্লেখ করে তারা বলেন, জনসাধারণের তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সমঝোতা স্মারকটি বিশদভাবে প্রকাশ এবং দুই দেশের জাতীয় পর্যায়ে এবং যৌথভাবে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা আমাদের নিজ নিজ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।  


 বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২

ইইউডি/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad