ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ধসে যাচ্ছে সড়ক, ঝুঁকিতে চলাচল

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
ধসে যাচ্ছে সড়ক, ঝুঁকিতে চলাচল ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন

ফরিদপুর: ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের শশা ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের বেশ কিছু অংশ ধসে পড়েছে। ধসে যাওয়া সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার যানবাহন।

যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, গত বছরের জুলাইয়ে শশা ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের এ স্থানে বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। খবর পেয়ে ফরিদপুর সড়ক বিভাগের লোকজন এসে সামান্য কিছু জিও ব্যাগ ফেলে যায়। এতে সড়কটি কোনো রকমে চলাচলের উপযোগী হলেও ১০-১৫ দিনের মাথায় একইভাবে আবারও ভেঙে পড়ে। যা থেকে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।  

জানা গেছে, ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নগরকান্দা-ফরিদপুর সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮ কিলোমিটার। সড়কটি ফরিদপুর সদর থেকে নগরকান্দা উপজেলার জয়বাংলা মোড়ের ঢাকা-খুলনা বিশ্বরোডে মিলিত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রাক-ভ্যানগাড়ি, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এবং রোগী বহনকারী গাড়ি চলাচল করে।

স্থানীয়রা জানান, সড়কের নির্মাণ কাজ যথাযথভাবে না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে সড়ক ধসে যাচ্ছে। ধসে যাওয়া বেহাল সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যানবাহন চলাচল করছে। সড়কের ধসে যাওয়া অংশ দায়সারা সংস্কার করা হয়েছে, যা কোনো উপকারেই আসছে না। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও, এসব সমস্যা দেখার বা সমাধান করার জন্য কেউ নেই। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে না। ধসে যাওয়া সড়ক এখনই মেরামত করা না হলে, যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান বাংলানিউজকে বলেন, সড়কের ধস থামাতে তাৎক্ষণিক সেখানে জিও ব্যাগ (বালুভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ফেলা হয়েছিল। আশা করছি কিছু দিনের মধ্যে সড়কের ধসে যাওয়া স্থানে স্থায়ী সংস্কারের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।