ময়মনসিংহ: সিঙ্গাপুরে চাকরি করা অবস্থায় নেপালি মেয়ে অনুদেবী ভুজেলের সঙ্গে পরিচয় হয় বাংলাদেশি যুবক পলাশ পালের। এরপর তাদের সখ্যতা বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে তারা প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে এই তরুণ-তরুণীর ভালোবাসার কাছে টেকেনি সেই আপত্তি। গত ৭ মার্চ অনুদেবী চলে আসেন বাংলাদেশে। এরপর গত ১০ মার্চ ঢাকায় তাদের বিয়ের আয়োজন করেন পলাশের বড় বোন, অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। জমজমাটভাবে সম্পন্ন হয় তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান।
এরপর ১২ মার্চ শনিবার বৌভাতের আয়োজন করা হয় বরের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের হতিহর গ্রামে। বর পলাশ পাল ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিতাই চন্দ্র পাল ও পূর্ণিমা রাণী পাল দম্পতির ছোট ছেলে।
ওই বৌভাত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে শুভেচ্ছা জানাতে অনুষ্ঠানে যান ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী।
বর পলাশ পাল জানান, পেশাগত কারণে আমি গত ৬ বছর ধরে সিঙ্গাপুরের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করছি। সেখানে অপর একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করত নেপালের অনুদেবী ভুজেল। সেই থেকে আমাদের চেনা-জানা।
তিনি আরও বলেন, অনুদেবী নেপাল, ভারত, বাংলা ভাষা ছাড়াও আরও কয়েকটি ভাষায় কথা বলতে পারে। তাই আমার পরিবারের সঙ্গে সে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারছে।
কনে অনুদেবী জানান, তার বাবা ভারতীয় ও মা নেপালী। বাবার বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি। তবে মূলবাড়ি নেপালে। দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে নেপালে। বরের বাড়ির সবাই খুব ভালো, সবাই তাকে আপন করে নিয়েছে বলে জানান তিনি।
পলাশের মা পূর্ণিমা রাণী পাল বলেন, আমাদের ছেলে তাকে পছন্দ করেছে। কনেকে আমাদেরও পছন্দ হয়েছে। সেও ইতোমধ্যেই সবাইকে আপন করে নিয়েছে।
পলাশের বড় বোন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, আমরা চার ভাই বোনের মধ্যে পলাশ সবার ছোট। অনুদেবীকে পছন্দের বিষয়ে সে আগেই আমাদের জানিয়েছিল। বিয়ের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সফল পরিণয় ঘটাতে পেরেছে তাতে আমরা সবাই খুব আনন্দিত। নবদম্পতির সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সবার কাছে আশীর্বাদ কামনা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
আরএ