বরিশাল: কীর্তনখোলা নদীতে ঢাকা-বরিশাল রুটের দ্রুতগামী যাত্রীবাহী নৌযানের ঢেউয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে বরিশাল নগরের রসুলপুর কলোনী সংলগ্ন নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মানুষ ও জিনিসপত্র নিয়ে বরিশাল থেকে ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলার হিজলার দিকে যাচ্ছিল। ট্রলারটি রসুলপুর কলোনী সংলগ্ন নদী অতিক্রমকালে বিপরীত দিক থেকে এমভি গ্রিনলাইন-৩ নামে যাত্রীবাহী নৌযানটি দ্রুতগতিতে বরিশাল নদীবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় নৌযানটির তীব্র ঢেউয়ে ট্রলারটি আকস্মিক ডুবে যায়।
এ সময় ট্রলারে থাকা জিনিসপত্র ও কাঠের পাটাতনসহ আনুমানিক ৩০ জনের মতো যাত্রী নদীতে ভাসতে থাকে। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশ থেকে কয়েকটি ট্রলার এসে উদ্ধার করে। তবে এর আগে বেশ কয়েকজন সাঁতরে নদী তীরে চলে আসে।
স্থানীয়রা জানান, গ্রিনলাইনের নৌযানটি ঢাকা থেকে প্রতিদিন একই সময়ে বরিশালে আসে এবং নির্ধারিত সময়ে ঢাকা যায়। এটি দ্রুতগামীর নৌযান হওয়ায় চলাচলের সময় প্রবল ঢেউ সৃষ্টি হয়।
তবে নদীবন্দরের কাছাকাছি ট্রলারটি ডুবলে কোস্টগার্ড ব্যতীত সরকারি কোনো সংস্থা তাৎক্ষণিক উদ্ধারে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউল করিম বলেন, নৌ-পুলিশের একটি থানা নদীবন্দর এলাকায় থাকলেও যাত্রীদের নিরাপত্তায় এদের কোনো কার্যক্রম কখনোই দেখা যায় না। নদীবন্দর থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বে এ দুর্ঘটনা ঘটলেও সবাইকে উদ্ধার করার পর তারা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে।
যদিও নৌ-পুলিশ ট্রলারটির যাত্রীদের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।
বরিশাল সদর নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় যাত্রীদের জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। খবর শুনে ঘটনাস্থলে নৌ-পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিরএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
এমএস/আরবি