ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণে আইন হচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণে আইন হচ্ছে প্রতীকী

ঢাকা: আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহার করে সরকারিভাবে জাকাতদানে উদ্বুদ্ধ করাসহ জাকাত সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপনের বিধান রেখে ‘জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২২’ করতে যাচ্ছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রিসভার সদস্যরা অংশ নেবেন।

মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘এভিডেন্স (এমেন্ডমেন্ট) খসড়া আইন, ২০২২‘, ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তির বাড়ি (সম্পূরক বিধানাবলি) আইন, ২০২২‘ এর খসড়ার নীতিগত/ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ১৩তলায় মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষ থেকে অংশ নেবেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব স্বাক্ষরিত জাকাত আইনের নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালে এবং ১৯৮২ সালে জাকাত তহবিল গঠন করা হয়। পরে ২০১৩ সালে সরকার আইনটি নতুন করে সংশোধন করে। সেই ধারাগুলো বাংলায় নতুন আইন প্রণয়নের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে কিছু সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়।

খসড়ায় আরও বলা হয়, সরকারিভাবে জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণ করা হবে এবং আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারিভাবে জাকাতদানে উদ্বুদ্ধকরণ, জাকাত সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন, জাকাতদানে আগ্রহী ব্যক্তিদের জাকাতযোগ্য সম্পদের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়, তহবিলের অর্থ সরকারিভাবে সংগৃহীত হবে। প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত অর্থ যেকোনো তফসিলি ব্যাংকের জাকাত ফান্ডে জমা দিয়ে জাকাত আদায় করতে পারবেন। আর একটি বোর্ড থাকবে। জাকাত বোর্ডে সদস্য থাকবে ১৫ জন। ধর্মমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী চেয়ারম্যান থাকবেন। সরকারি প্রতিনিধির সংখ্যা বোর্ডে বেশি রাখা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করে দেবে ইসলামি ফাউন্ডেশন বা ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে।

আইনের খসড়ায় বলা হয়, সরকার কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই যে কোন সদস্যকে জাকাত বোর্ডের সদস্য পদ থেকে বাতিল করতে পারবে।

বিচারপতিদের ১৮ মাসের ছুটি নগদায়ন সুবিধা বৃদ্ধি
বিচারপতিদের ১৮ মাসের ছুটি নগদায়ন সুবিধা যুক্ত করে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২২’ খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে উত্থাপন করা হচ্ছে।

বিচারপতিদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়ে ২০১৫ সালে আইনে সরকারি কর্মচারীরা ১৮ মাসের ছুটি নগদায়ন সুবিধা ভোগ করে আসছে। সেই সুবিধা থেকে বিচারপতিরা বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন। এরূপ সুবিধাদি অর্ন্তভুক্ত করে আইনের খসড়া প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি সময়োপযোগী করার উদ্দেশ্যে পূর্বের আইনের কিছু বিধান সংশোধন করা হয়েছে। অর্থ বিভাগের ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল স্মারকমূলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টেও বিচারকরা পেনশন পুনঃস্থাপন সংক্রান্ত সুবিধাদি ইতোমধ্য প্রাপ্ত হওয়ায় এবং চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫ অনুসারে সরকারি কর্মচারীরা ১৮ মাসের ছুটি নগদায়ন সুবিধা ভোগ করায় বিচারকদের জন্য এরূপ সুবিধাদি খসড়া আইন অর্ন্তভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া, আইনজীবী থেকে নিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ভবিষ্য তহবিল সংক্রান্ত বিধান সংযোজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির অবসরোত্তর সুবিধা সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্তি ও প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।