ঢাকা, রবিবার, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে দুপক্ষের সংঘর্ষে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, আটক ৩

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২২
সিলেটে দুপক্ষের সংঘর্ষে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, আটক ৩

সিলেট: সিলেটের বালাগঞ্জে রাস্তায় গার্ডওয়াল নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আবুল আল মাহমুদ ওরফে আবুল মিয়া (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।


 
বুধবার (২৩ মার্চ) বিকেলে উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের সিরাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
 
আবুল মিয়া ওই গ্রামের মৌলভী হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি সিলেট নগরের শামীমাবাদ এলাকায় বসবাস করতেন।
 
ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত একজনসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  আরও দুজনকে আটক করেছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
 
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গ্রামের পুরাতন জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানের পাশের একটি রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় কয়েক দফা বৈঠকে আপস নিষ্পত্তির চেষ্টা চলে।
 
ঘটনার দিন বুধবার কবরস্থানের পাশের রাস্তা দিয়ে চলাচলের জন্য আবুল মিয়া গার্ডওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে শাহ মোহাম্মদ নিয়াজি আমির আলী ও গেদু মিয়া গং যানবাহন চলাচলেরসুবিধা রেখে গার্ডওয়াল নির্মাণ করার কথা বললে উভয় ক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। এরই জেরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে উভয় পক্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।
 
নিহত আবুল মিয়ার পক্ষের মো. খসরু মিয়া ও ফেরদৌস আলী বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারান আবুল মিয়া। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
 
সংঘর্ষে ওই পক্ষের ইরশাদ আলীর ছেলে সেবুল মিয়া (৩০), আলী হুসেনের ছেলে সাজন মিয়া (২৭), খসরু মিয়া (৫০) ও খসরু মিয়ার ছেলে তাহমিদ (২০) এবং অপর পক্ষের আলফু মিয়া (২৮), নাঈম আহমদ (২২), মাসুদ আহমদ (২৪), গেদু মিয়া (৫০) আহত হয়েছেন।
 
বালাগঞ্জে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, উভয়পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার মূলহোতা মৃত মদরিছ আলীর ছেলে শাহ মোহাম্মদ মিয়াজী আমির আলীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মকবুল আলীর ছেলে ছমখ আলী, সিন্তুর আলীর ছেলে ইয়াকুব আলীকে আটক করা হয়।
 
তিনি বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে আবুল মিয়া মারা গেছেন। তবে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা যাননি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২২
এনইউ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।