ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১৮ জুন ২০২৪, ১০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে সংঘর্ষে নিহত মাওলানা সালেহ’র বাড়িতে শোকের মাতম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২২
সিলেটে সংঘর্ষে নিহত মাওলানা সালেহ’র বাড়িতে শোকের মাতম

সিলেট: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে নিহত মাওলানা সালেহ আহমদের (৩০) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এরপর বিকেল ৫টার দিকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিহতের বাড়ি হেমু ভাটপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ছিফত উল্লাহর ছেলে।  

মরদেহ বাড়িতে পৌঁছার পর সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। স্বজন হারানোর আর্তনাদে ভারি হয়ে ওঠে বাতাস। স্বজন ও প্রতিবেশীরা এ সময় বাড়িতে ভিড় করেন। মাওলানা সালেহর মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান পুরো এলাকার সবাই। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, তারাবি নামাজের পর রাত সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে।

স্বজনরা বলেন, মাওলানা সালেহ সিলেট নগরের মেজরটিলা তাহফিজুল কোরআন মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন।

গত রোববার (০৩ এপ্রিল) দিনগত রাত থেকে পরদিন সোমবার (০৪ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক আহমদের পক্ষে হাউদপাড়া ও সাবেক চেয়ারম্যান রশিদ আহমদের পক্ষে শ্যামপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ থামাতে যান মাওলানা সালেহ। ইমাম ও মুরব্বীদের একটি প্রতিনিধি দলে ছিলেন তিনি। এ সময় ফের উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তাৎক্ষণিক মাওলানা সালেহকে ধরে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে একটি পক্ষ। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে স্বজনরা বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মধ্যস্থতা করতে গেলে ওই সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে লোকজন দিকবিদিক ছোটাছুটি করেন। টিয়ারশেলে আক্রান্ত হয়ে মাওলানা সালেহ মাটিতে পড়ে গেলে বর্তমান চেয়ারম্যানের পক্ষ তাকে ইউনিয়ন পরিষদের  ভেতরে নিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ০৫ এপ্রিল, ২০২২
এনইউ/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।